নিস্তেজ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন

নিস্তেজ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন

বাংলাদেশ সংবাদ (বিনোদন প্রতিনিধি)- ভোটের বাকি আর মাত্র দুই দিন । ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। সময় ঘনিয়ে আসলেও এখনও জমে উঠেনি এফডিসি পাড়া। নেই কারো মধ্যে কোনো আনন্দ । নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে এফডিসি। আছে প্রার্থীদের আনাগোনাও। বেশ ভালোই মুখরিত চলচ্চিত্রের কারখানাটির আঙ্গিনা। তবু অন্যান্যবারের মতো জমজমাট নয় সিনেমার ক্যাপ্টেনদের নির্বাচন। এমনটাই দাবি করলেন অনেক ভোটার সাধারণ পরিচালকরা। তারা বলছেন ,প্রতিবার কতো জমজমাট থাকে কিন্তু এবার কারো মধ্যে সেই আমেজ নেই, তবে দেখার বিষয় নির্বাচনের দিন কি হবে।

তাদের দাবি, এবারে অনেকটা একপেশে নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে। সদ্য বিদায়ী কমিটির প্যানেল গুলজার-খোকনের। তারাই জনপ্রিয়তা ও প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। এফডিসি ঘুরে দেখা গেল, এবারের নির্বাচনে গুলজার-খোকন ও বাদল খন্দকার-বজলুর রাশেদ চৌধুরী এই দুটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নির্মাতারা। স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছেন ৩-৪ জন। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে গুলজার-খোকন প্যানেল।

এই প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচারণাই বেশি দেখা যাচ্ছে এফডিসিতে। তাদের পোস্টারের আধিক্যই চোখে পড়ছে। তারা নির্বাচনকে ঘিরে অনেক সক্রিয়ও। ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, ভোট চাইছেন।

তবে বাদল খন্দকার-বজলুর রাশেদ চৌধুরী প্যানেলেও জনপ্রিয়তায় ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে আছেন অনেক নির্মাতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নির্মাতা বলেন, ‘আমিও একটি প্যানেলের হয়ে নির্বাহী সদস্য হিসেবে প্রার্থী হয়েছি। এখনও অতটা জমজমাট নয়। তবে শেষ দিন জমজমাট হতে পারে বলে তিনি আশা করেন ’

জনপ্রিয়তায় কোন প্যানেল এগিয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে আরেক ভোটার সাধারণ নির্মাতা বললেন, ‘গুলজার-খোকন প্যানেল গেল মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। তারা বেশ কিছু কাজ করেছে সফলভাবে। বিশেষ করে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের অনিয়ম দূর করতে তাদের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। সদস্যদের প্রতিও তারা আন্তরিক ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে তারা জনপ্রিয়তায় খানিকটা এগিয়ে।

আবার ক্ষমতায় থাকলে অনেক ব্যর্থতার দায়ও থাকে। তাদের যা প্রতিশ্রুতি ছিল তার অনেকগুলোই পূরণ হয়নি। সে জায়গায় নতুন প্যানেলের জন্য অনেক সুযোগ থাকছে।’

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে কেমন নেতৃত্ব চান জানতে চাইলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রিয়াজুল রিজু বলেন, ‘আমাদের সিনেমা কমে গেছে। সিনেমা বাড়াতে পরিচালক বান্ধব নেতৃত্ব চাই আমি। এটা শুধু আমার নয়, সব নির্মাতারই প্রত্যাশা। যারা ইন্ডাস্ট্রি সচল রাখার ভরসা দিতে পারবেন তারাই এগিয়ে থাকবেন। আর যে প্যানেলই ক্ষমতায় আসুক, আমরা একটি সুন্দর-বন্ধুসুলভ নির্বাচন চাই।’

Comments are closed.

More News...

বাঙালির নিজস্ব নান্দনিক সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে- লায়ন গনি মিয়া বাবুল

দ্রুত এগিয়ে চলছে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের কাজ – মুম্বাইতে চিত্রায়ণ পরিদর্শনে তথ্যমন্ত্রী