পানির এটিএম

পানির এটিএম

এটিএমে টাকা মেলে, এটা পুরোনো কথা। কিন্তু রাজধানীতে এমন দুটি এটিএম বসানো হয়েছে, যেখানে টাকা নয়, পাওয়া যায় বিশুদ্ধ পানি। প্রিপেইড কার্ড দিয়ে গ্রাহকেরা যেকোনো সময় সেখান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারছেন।

ডেনমার্কের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ফকিরাপুলে ওয়াসার পানির পাম্পে বসানো হয়েছে ওই এটিএম বুথ। বুথে এটিএম আছে দুটি। সেখানে গভীর নলকূপের সাহায্যে তোলা পানি প্রতি লিটার বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ পয়সায়। সেখান থেকে পানি নিতে হলে ২০০ টাকা ফেরতযোগ্য জামানত দিয়ে একটি কার্ড নিতে হবে। এ জন্য গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও দুই কপি ছবি লাগবে। এরপর চাহিদা অনুযায়ী কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হয়। সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়।

এটিএমে কার্ড ঢোকানোর পর নির্ধারিত বোতাম চাপলে পানি পড়তে শুরু করবে। পানি নেওয়া শেষে কার্ডটি সরিয়ে ফেললে পানি আসাও বন্ধ হয়ে যাবে।

সম্প্রতি ওই বুথে পানি নিতে এসেছিলেন পিংকি নামের এক তরুণী। সে সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে।পিংকি জানান,ফকিরাপুলে তাঁদের বাসা। তিনি এই এটিএম বুথ থেকে বাসার জন্য খাওয়ার পানি নিয়ে যান।

পিংকি জানান, তিনি প্রথমে ২০০ টাকা রিচার্জ করেছিলেন। ওই টাকা শেষ হওয়ার পর আবার ২০০ টাকা রিচার্জ করেছেন। তিনি বলেন, বাসার পানি ফুটিয়ে খাওয়া লাগে। অনেক সময় দুর্গন্ধ থাকে, ফুটিয়েও খাওয়া যায় না। আর এখানকার পানি বিশুদ্ধ।

ফকিরাপুলের এটিএম বুথ থেকে নিয়মিত পানি নেন মো. শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি কয়েকটি অফিসের জন্য প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ লিটার পানি নেন। তিনি বলেন, এখানে কম দামে বিশুদ্ধ পানি মেলে। ওয়াসার পানির বুথের উদ্যোগ ভালো বলে মন্তব্য করেন শহিদুল।

ফকিরাপুলের পানির বুথের ইনচার্জ মো. জুয়েল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি গ্রাহক পানি নেওয়ার জন্য কার্ড করিয়েছেন।

প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইয়ার খান বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে পানির এটিএম দুটি চালু করা হয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ঢাকায় ওয়াসার আরও ১০০টি পাম্পে এটিএম বুথ চালুর পরিকল্পনা আছে।

মো. ইয়ার খান জানান, এ রকম আরেকটি পানির এটিএম চালু আছে মুগদায় স্টেডিয়ামের পাশে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::