আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে  বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন

বাংলাদেশ সংবাদ – আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও জাতীয় শহীদ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬:৩০ টায় ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত প্রভাত ফেরী শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫১,৫১/এ পুরানা পল্টন ঢাকায় ‘মহান ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট খান চমন-ই-এলাহী, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য মোঃ আবুল বাসার মজুমদার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, প্রিয়াংকা ইসলাম, মোঃ আরিফুজ্জামান, পলাশ চৌধুরী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবির হিমু, নাদিকুর ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও অভিন্ন। ১৯৯২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়েছিল। যদিও এর পূর্বেই ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকায় প্রথম হরতাল পালিত হয়। ঢাকার আব্দুল গনি রোডে হরতালের সময় পুলিশের হামলায় অসংখ্য ছাত্র জনতা আহত হয়। মিছিল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে এই দাবিতে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ছাত্র-জনতাসহ সকল মহল থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি জোরালো হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের করলে তৎকালীন পাকিস্তান

সরকারের পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিক প্রমুখ শাহাদাত বরণ করেন। বিশ্বে মাতৃভাষা রক্ষার জন্য একমাত্র বাঙালি জাতি রক্ত দিয়েছে। ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির শক্তি ও প্রেরণার উৎস। তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ভাষাসৈনিকদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা জরুরী। তিনি বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান।

আলোচনা শেষে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহর্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, সংগঠনের সদস্য মাওলানা শামসুল হক হাবিবী।

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

নির্বাচনে কোন কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারালে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : ইসি আনিছ