সরকারের জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির ফলে অন্যান্য বছরের মতো এবারও মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীসহ ভোলা জেলার বিভিন্ন নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে পল্লীগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা।
সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন মাছের ঘাট, আড়ৎ, পাইকারী ও খুচরা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাক ও দর কষাকষিতে প্রতিদিন মুখরিত হচ্ছে ইলিশের বাজার।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, এবছর ইলিশের প্রাপ্তিটা একটু শেষ দিকে হয়েছে। দেরিতে হলেও কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের সাথে-সাথে আমরাও খুশি।
তিনি বলেন, গত অর্থ বছরে ভোলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আর সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে এবারো টার্গেট অতিক্রম করবে। সদর উপজেলার মেঘনার ভোলার খাল মাছের ঘাট, কোরার হাট মাছের মোকাম, তুলাতুলি মাছ ঘাট, বিশ্বরোড মাছের ঘাট, জংশন এলাকার মাছঘাট, ইলিশার মাছ ঘাট, দৌলতখান উপজেলার পাতার খাল, চরফ্যাশনের চেয়ারম্যানের খাল মাছ ঘাট, তেতুলিয়ার ভেদুরিয়া মাছঘাট, শান্তির হাটের মাছঘাটসহ বিভিন্ন ইলিশের মোকামে প্রতিদিন প্রচুর ইলিশ আমদানী হচ্ছে। মোকামগুলোতে জেলেদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ বলেন, প্রতিদিন জেলার শতাধিক মাছ ঘাটে কোটি-কোটি টাকার ইলিশ মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যাচ্ছে। নদীতে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরা খুশি।
সদর উপজেলার মেঘনা পাড়ের ভোলার খাল মাছ ঘাটের আড়ৎদার মো. আল-আমিন বাসস’কে জানান, এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তেমন একটা ইলিশ মাছ পাওয়া না গেলেও বর্তমানে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে। কয়দিন আগেও যেসব আড়তে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার ইলিশ বিক্রি হতো, সেখানে এখন লাখের উপরে বিক্রি হচ্ছে। আল-আমিন বলেন, প্রতিদিন শুধু এই ঘাট থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে-/- বাসস