এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের এক হাজারতম টেস্টে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন জো রুট। ২৭ বছর বয়সী ইংলিশ অধিনায়কের চেয়ে কম বয়সে মাইলফলকটির দেখা পেয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও অ্যালিস্টার কুক। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে থাকতে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন এ মাইলফলক। তবে সময় নেওয়ার হিসেবে (৫ বছর ২৩১ দিন) রুটই দ্রুততম। কিন্তু রুটের মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে ইংল্যান্ড তেমন ভালো করতে পারেনি।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড একপর্যায়ে ৩ উইকেটে দুই শ টপকে গিয়েছিল। এখান থেকে প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ২৮৫। রুটের ৮০ রানই সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ড অধিনায়ক উইকেটে থাকতে পারলে হয়তো চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি তা হতে দেননি। দুর্দান্ত থ্রোয়ে রুটকে তুলে নিয়ে দারুণ এক প্রতিশোধও নিয়েছেন কোহলি। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নিজের সেই চিরাচরিত ‘মাইক ড্রপ’ ভঙ্গিতে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদ্যাপন করেছিলেন রুট। কাল কোহলি সেই উদ্যাপনই ফিরিয়ে দিয়েছেন রুটকে।
দলীয় ২১৬ রানে অশ্বিনের বল মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে দুই রান চুরির চেষ্টা করেছিলেন রুট-বেয়ারষ্টো জুটি। কিন্তু কোহলি দ্রুত ছুটে গিয়ে ফিরতি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন রুট ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই। ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডারের খুঁটিকে ফেরানোর আনন্দে কোহলি প্রথমে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে কিছুক্ষণ বিড়বিড় করে কিছু একটা বলেছেন আর আঙুলটা ঠোঁটে রেখে চুপ থাকার ইঙ্গিতও করেন। এরপর রুটের মতোই হাতটা ওপরে তুলে সেই ‘মাইক ড্রপ’ উদ্যাপন—যেন হাত থেকে ব্যাটটা ফেলে দিচ্ছেন!
টিভি রিপ্লেতে ঘটনাটা বারবার দেখানো হলেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের মতে, এমন আচরণের জন্য ম্যাচ রেফারির তরফ থেকে কোহলির শাস্তি না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর ইংল্যান্ড দলও কোহলির উদ্যাপনকে নেতিবাচক চোখে দেখছে না। দলটির ওপেনার কিটন জেনিংসের বলেছেন, ‘সবাই নিজের মতো করেই উদ্যাপন করতে পারে। সে তাঁর মতো করে করেছে।’
প্রথম দিনে ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামানোর নায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৪ উইকেট নিয়েছেন এ স্পিনার। ইংল্যান্ডে টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম ভারতীয় স্পিনার হিসেবে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন অশ্বিন।