ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ৭ মার্চ সকাল ৮টায় ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ দোয়া মাহফিল, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও আলোচনাসভা এবং ঢাকার কলাবাগান থেকে ৩২ ধানমন্ডি পর্যন্ত এক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি কাজী রোজী এমপি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির প্রেরণা ও শক্তির উৎস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই ভাষণ শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে। এই ভাষণ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী এই ভাষণ বিশে^র শোষিত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত মানুষকে সব সময় প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দিক নির্দেশনা, বর্তমানেও এই ভাষণের ব্যপক চাহিদা ও গুরুত্ব রয়েছে।
ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা বলেন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির বীজ রোপিত হয়েছিল, ১৯৭১ সালে তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই দিবসটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত। নতুন প্রজন্মকে এই ভাষণে উদ্ধুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তিনি সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর জাতিসংঘের ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ^ প্রামান্য দলিল হিসেবে রেজিষ্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করেছে, যা বাঙালি জাতির জন্যে গৌরব ও সম্মানের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির নয়, বিশে^র অন্যতম সম্পদ। বিশে^র নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে এই ভাষণ অনন্তকাল কাজ করে যাবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ^ব্যাপি প্রচার-প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
কর্মসূচিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট খান চমন-ই-এলাহী, নির্বাহী সদস্য মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য লায়ন খান আক্তারুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হালিম, কবি মোঃ খাদেমুল ইসলাম, এম.এ মান্নান ইমরান, শাহ সুলতান আতিক, মোঃ রাজিবুল ইসলাম রাজিব, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা উত্তরের নেতা আ.হ.ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন