চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের ফলে বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার সুযোগ হলো-বাণিজ্যমন্ত্রী

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের ফলে বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার সুযোগ হলো-বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- চীনের সহায়তায় চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের ফলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত চীনা অনুদান সহায়তায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ এর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশে নতুন করে ব্যবসা-বাণিজ্যে ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। এসকল জোনে চীনের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। চায়না বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। উভয় দেশের বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। চায়নার সাথে বাংলাদেশের রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য তৈরি করতে যন্ত্রপাতি এবং পণ্যের কাঁচামাল চায়না থেকে আমদানি করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। চায়না বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি রপ্তানি পণ্যের উপর ডিউটি ফ্রি মার্কেট সুবিধা দিচ্ছে। চীনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট পণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক মেলায় নিয়মিতভাবেই অংশগ্রহণ করে থাকে। চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা সহজ হবে। এখন থেকে উন্নত পরিবেশে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত হলরুমে এ বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা সম্ভব হবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী এখানে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা সম্ভব হবে। আমাদের এক্সিবিশন সেন্টার না থাকার কারণে বছরব্যাপী নিজস্ব রপ্তানি পণ্যের কোনো প্রদর্শনী কেন্দ্র ছিল না। এখন নিজস্ব রপ্তানি পণ্য প্রদর্শন করার সুযোগ হলো।
উল্লেখ্য, পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ একর জমির উপর ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার হস্তান্তর পত্রে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চায়নার পক্ষে স্বাক্ষর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চায়নার অ্যাম্বাসেডর লি জিমিং।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন