জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সংবাদ- আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর জাতির পিতার জন্মদিবসকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবছর ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হবেন বলে সভায় জানানো হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি, ঢাক দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ ও জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ মর্যাদার সাথে দেশব্যাপী মুজিববর্ষে এই মহান নেতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করা হবে।
সভায় অনুষ্ঠানসূচির আলোচনায় জানানো হয়, জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে শিশু প্রতিনিধির মাধ্যমে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হবে। মুজিববর্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতার ম্যুরাল এর ফলক উন্মোচন করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন ও অনলাইনে শিশুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র, স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ ও প্রকাশ করা হবে। দূতাবাসসমূহে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা, মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক ও সপ্তাহব্যাপী ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন