শব্দদূষণ ও বন্যপ্রাণী নিধন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ মন্ত্রীর নির্দেশ

শব্দদূষণ ও বন্যপ্রাণী নিধন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ মন্ত্রীর নির্দেশ

বাংলাদেশ সংবাদ- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন সচিবালয়ের চারপাশ-সহ সারা দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং হাতি-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী নিধন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় শব্দদূষণ রোধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত মাসিক সভায় সরকারি বাসভবন হতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
শব্দদূষণ রোধ বিষয়ে ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক’ প্রকল্পের পরিচালক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, সচিবালয়ের চারপাশ ও আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় ‘নীরব এলাকা’ বাস্তবায়ন করতে অতি শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাতি নিধন রোধ বিষয়ে ‘ বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পে’র পরিচালক মিহির কুমার দে বলেন, চলমান প্রকল্পে হাতি নিধন রোধ বিষয়ক কোনো কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও বন বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রমের আওতায় হাতি নিধন রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। এবিষয়ে ব্যাপকভিত্তিতে কাজ করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, যা অনুমোদিত হলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়ক হবে।
পরিবেশ মন্ত্রীর এক জিজ্ঞাসার জবাবে ‘ইন্টিগ্রেটিং কমিউনিটি বেইজড এফরেস্ট্রেশন এন্ড রিফরেস্ট্রেশন’ প্রকল্পের পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মাহমুদ হাসান জানান, উপকূলের সর্বাধিক বিপন্ন ৫টি জেলার ৮টি উপজেলায় ১০ হাজার ৫শত পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার মানুষের জীবিকায়নে জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রশংসিত হয়েছে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মোঃ মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী-সহ দফতর প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ আলোচনায় অংশ নেন।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন