‘মদ খাওয়া অবস্থায় আবরারকে পিটিয়ে মারা হয়’

‘মদ খাওয়া অবস্থায় আবরারকে পিটিয়ে মারা হয়’

বাংলাদেশ সংবাদ – বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে মারধরে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েকজন মদ খাওয়া অবস্থায় ছিল। এতে ছাত্রলীগের সকাল, মনির, তানভীর, জেমি, তামিম, সাদাত, রাফিদ, তোহাসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মীর জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে মদ্যপ অনিক বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (৮ অক্টোবর) রাতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনালাপে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানানো হয়েছে ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত রবিবার রাত ৮টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ফাহাদের ওপর চলে নির্যাতন।

এ হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। তারা হলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, এহেতসামুল রাব্বি তানিম ও মুজাহিদুর রহমান।

উল্লেখ্য, রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন