বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ আয়োজিত   ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সংবাদ – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ৩১ আগস্ট শনিবার সকাল ১০.৩০ টায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম ও বর্বরোচিত। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত দেশী-বিদেশী স্বাধীনতা বিরোধীচক্র এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করে। এই হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধে তৎকালীন স্বাধীনতাবিরোধী অবৈধ সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। যা পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান আইনে পরিণত করে। এই হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানসহ যারা পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ সময় এদেশে মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার ছিল ভূলণ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ১৭ই মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর ইনডেমনিটি রহিত করায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য বাঙালি জাতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রধান আলোচক হিসেবে শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করছেন। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সর্বস্তরে সঞ্চারিত ও প্রসারিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক বলে তিনি মন্তব্য করেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান, বঙ্গবন্ধু একাডেমি মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
আলোচনা শেষে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করেন বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন