বনানী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত

বনানী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত

বাংলাদেশ সংবাদ – রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারে লাগা আগুনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার বালুগ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মৃধার ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), দিনাজপুরের সদর উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (৩৬), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্সের আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬), মনির (৫০) এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক ও বনানীর স্কেন ওয়েল লজিস্টিকসের ব্যবস্থাপক নিরস ভিগ্নে রাজা (৪০)।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী জানান, আগুনে ভেতরে থাকা অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফিয়ে, ক্যাবলে তার বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল বেলা পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর বনানীর বহুতল এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লাগে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ভেতরে আটকাপড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে।

এর পর বিকেল ৩টার দিকে ভেতরে আটকা পড়াদের ক্রেন দিয়ে এক এক করে আটকাপড়াদের নামাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকাপড়াদের উদ্ধারে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনীর ফায়ার ইউনিট ও বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিট। 

আগুনে আটকাপড়াদের ক্রেন দিয়ে ও এয়ার লিফটে করে এক এক উদ্ধার করে নামিয়ে আনা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনটি থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক এই ভবনটিতে প্রায় হাজারখানেক লোক বিভিন্ন অফিসে কর্মরত বলে জানা গেছে। 

ক্রেন এবং বিমান বাহিনীর এয়ার লিফট দিয়ে আটকেপড়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আহতদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে রাজধানীর সব হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

আটকেপড়াদের খবর নিতে স্বজনরা ভবনটির চারপাশে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে ভেতরে আটকেপড়া স্বজনদের কারও কারও কথা হয়েছে। ভেতর থেকে হাত নাড়িয়ে ও জামা নীচে ফেলে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন অনেকেকে। ভেতরে চিৎকার ও কান্নার রোল পড়েছে। উৎসুক হাজারো মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। অনেকেই উদ্ধারকাজেও সাধ্যমত সহায়তা করছেন। তবে ভবনের আশেপাশে এখনও যাওয়া যাচ্ছে না। 

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন