বাগেরহাটে ৫টি খাল অচিরেই পুনঃ খননের কাজ শুরু মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনা

বাগেরহাটে ৫টি খাল অচিরেই পুনঃ খননের  কাজ শুরু মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনা

বাংলাদেশ সংবাদ – বাগেরহাটের ফকিরহাটে মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতি ঘাটতে বেতাগার ৫টি মরা খাল অচিরেই পুনঃ খননেন কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট ছোট নদী খাল পুনঃ খনন ও ব্রীজ কালভাট এবং সুইচ গেট নির্মাণ করার কাজ হাতে নিয়েছেন। সে মোতাবেক খাল গুলি পুনঃ খনন করা হলে মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভাব হবে। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দুরী করণের লক্ষে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে মরে যাওয়া জলাশয় ও ছোট ছোট খাল গুলি পুনঃ খনন এবং সুইচ গেট ব্রীজ কালভ্যাট নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কোন কোন স্থানে জলাশয় ও খাল গুলি পুনঃ খননের কাজ চলছে। এতে এক দিকে যেমন কুষকরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন, লবন পানি হাত থেকে, তেমনী রক্ষা পাওয়া যাবে স্থায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে। লবন পানি আর জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেলে এঅঞ্চলের মৎস্য ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, বেতাগা ইউনিয়নের কুমোরখালী সাবপ্রজেক্ট, চাকুলী খাল, গজালিয়া খাল, পাশের্^খালী খাল, দাঁতনেমারী খাল, মরা পশর নদী ও ভোলা নদী সহ বিভিন্ন নদী খাল গুলি মরে যাওয়ার ফলে প্রায় ২০টি বিলে ধান ও মাছ চাষ করা অসম্ভাব হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় পানি জমে বিল গুলিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়। সে সময় হাজার হাজার কৃষি জমির ফসল ও মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে বন্যার রুপ চরম আকার ধারন করে। এঅবস্থায় স্থানীয় চাষিরা পড়ে যান মহাবিপাকে। সে সময় চতুরপাশের্^ পানি আর পানিতে একাকার হয়ে গেলে জনগনের সিমাহীন দুর্ভোগ নেমে আসে। গত কয়েক বছর আগে কয়েকটি মরা খাল পুনঃ খনন করা হলেও তা যতেষ্ট পরিমান না হওয়ায় জনগন তেমন একটা উপকৃত হয়নী। কারণ হিসাবে কৃষকরা জানান, ফকিরহাটের লখপুর বেতাগা ও শুভদিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মরা পশর নদী এবং রামপালের গৌরম্ভা বাজার সংলগ্ন মরা ভোলা নদীটি পুনঃ খনন করে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা বাজুয়া নদীতে মিশে দিতে পারলে নদীটির গতি বাড়তো। তা না হলে এই ছোট ছোট জলাশয় ও খাল গুলি পুনঃ খনন করা তেমন একটা কাজে আসছেনা। কারণ খালের উপরী অংশে জমে থাকা পানি নিচেই না নামার কারনে বিল গুলিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হচ্ছে। আর জলাবদ্ধতার কারণে মৎস্য ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্থানীয় চাষিদের। তবে সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট ছোট নদী খাল পুনঃ খনন ও ব্রীজ কালভাট এবং সুইচ গেট নির্মাণ করার কাজ হাতে নিয়েছেন। সে মোতাবেক খাল গুলি পুনঃ খনন করা হলে মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভাব হবে। এব্যাপারে এলজিইডির ঢাকাস্থ হেড অফিসের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবু তাহের চৌধুরীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতি করার জন্য সরকার টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট ছোট নদী খাল পুনঃ খনন ও ব্রীজ কালভাট এবং সুইচ গেট নির্মাণ করার কাজ হাতে নিয়েছেন। সেঅনুযায়ী আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আমরা খাল ও জলাশয় গুলি পুনঃ খননের কাজ শুরু করব। এব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ এর সাথে আলাপ করাপ হলে তিনি বলেন, খাল গুলি পুনঃখনন করা হলে মৎস্য ও কৃষি ক্ষাতে ব্যাপক উন্নতি হবে। কিন্তু সেটি টেকসই হবে না। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, উপরে জমে থাকা পানি যদি সঠিক ভাবে নিষকাশন হতে না পারে তাহলে জলাবদ্ধতা দুর করা সম্ভাব না। তবে ফকিরহাটের মধ্যদিয়ে ও রামপালের গৌরম্ভা বাজার সংলগ্ন মরা ভোলা নদীটি পুনঃ খনন করে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনার বাজুয়া বড় নদীতে মিশে দিতে পারলে নদীটির গতি বাড়তো। আর গতি বাড়লে ছোট ছোট জলাশয় ও খাল পুনঃ খনন কাজে আসতো বলেও তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য বুধবার সকালে এলজিইডির ঢাকাস্থ হেড অফিসের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধিরা বেতাগা ইউনিয়নের কুমোরখালী সাবপ্রজেক্ট, চাকুলী খাল, গজালিয়া খাল, পাশের্^খালী খাল, দাতনেমারী খাল, মরা পশর নদী ও ভোলা নদী সহ বিভিন্ন জলাবদ্ধতাপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন