জয় দিয়ে সিরিজ শুরু মাশরাফি বাহিনীর

জয় দিয়ে সিরিজ শুরু মাশরাফি বাহিনীর

বাংলাদেশ সংবাদ নিউজঃ- জিম্বাবুয়েকে ২৮ রানে হারিয়ে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করলো মাশরাফি বাহিনী।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ করে ২৭১ রান। জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২৪৩ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।

জয়ের জন্য ২৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুভ সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। ৭ ওভারেই ৪৮ রান পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৮ম ওভারে প্রথম আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ২৪ বলে ৩৫ রান করা ঝুয়াওকে বোল্ড করেন ফিজ।

তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে গিয়ে ক্রিজে মাসাকাদজার সঙ্গী হন সাবেক অধিনায়ক টেইলর। নাজমুলের সামান্য ঘুর্ণি সামলাতে না পেরে ১৩ বলে ৫ রান করে বোল্ড হন টেইলর। এর কিছুক্ষণ লং-অফে বল পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি করেন ২১ রান।

নাজমুলের দ্বিতীয় আঘাতে রাজা সাজঘরে ফেরার পরপরই আরভিনকে বোকা বানান ডান-হাতি অফ-স্পিনার মিরাজ। মিরাজের ঘুর্ণিতে কুপোকাত হয়ে ২৪ রানেই থেমে যেতে হয় আরভিনকে।

শেষদিকে নবম উইকেটে উইলিয়ামস ও জার্ভিসের ৬৭ রানের জুটিতে সম্মানজনক স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের মিরাজ ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন।

এরআগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৭ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১৪৪ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ২৭১ রানের এক বিশাল সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস।

ইমরুল কায়েসের সবচেয়ে বেশি সঙ্গ দিয়েছেন সাইফুদ্দিদন ও মোহাম্মদ মিঠুন। সাইফুদ্দিন করেছেন ৫০ রান আর মোহাম্মদ মিঠুন করেছেন ৩৭ রান।

শুরুতে দলীয় ১৬ রানে লিটন দাস আউট হয়ে গেলে মাঠে নামে দলে প্রথমবারের মত ডাক পাওয়া আলোচিত ফজলে রাব্বি। ব্যক্তিগত শূন্য রানে তিনি যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭।

অনেক আশা-আকাঙ্খার রাব্বি মান রাখতে পারেন নি। ব্যক্তিগত শূন্য রানেই আউট হয়ে যান তিনি। রাব্বিবে আউট করতে আবারো ভূমিকা সেই ছাতারার। তার বলেই ক্যাচ ধরেন টেইলর। রাব্বি যখন মাঠ ছাড়েন তখন বাংলাদেশের দলীয় রান ১৭। শুরুতেই এ দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।

ফজলে রাব্বি আউট হলে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহীম। মুশফিক ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ভালই আশার আলো দেখাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হলনা। দলীয় ৬৬ রানে, ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হয়ে যান তিনি। এবারও ক্যাচ সেই টেইলরের। বল হাতে উইকেটটি নেন মাবুতা।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও ইমরুল কায়েস জুটি ভালোই করছিলেন। কিন্তু তিনি হার মানেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক মাসাকাদজার কাছে। বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে ফল পান তিনি। জার্ভিসের বলে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরে যান তিনি। ততক্ষণে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৭।

মিঠুন আউট হওয়ার ওভারেরই শেষ বলে জার্ভিসের বলে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত শূন্য রানে আউট হন তিনি।

এরপর ব্যাট করতে নামেন মেহেদী মিরাজ। তিনিও হতাশ করলেন। ব্যক্তিগত ১ রানে যখন আউট হলেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৯।

বাংলাদেশ যখন এক রকম বিপদে পড়ে গেছে তখন কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ন হলেন ইমরুল কায়েস এবং সাইফউদ্দিন। অসাধারণ ব্যাটিং করলেন দু’জন। তাতের দুর্দান্ত ১২৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে পৌঁছে দিলো বিশাল এক লড়াকু স্কোরে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে ২৭২ রানের দারুণ এক লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

ইমরুল কায়েস তার ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রান করে আউট হন। ১৩টি চার ও ছয়টি ছয় মেরে বিশাল সংগ্রহ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, জীবনে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাইফউদ্দিন। ৬৯ বল খেলে ৫০ রান করেন তিনি।

অন্যদিকে মাশরাফি ব্যাটিংয়ে নামলে ২ রানে অপরাজিত থেকেছেন, মোস্তাফিজুর রহমানও অপরাজিত থেকে করেছেন এক রান।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন জার্বিস। তিনটি উইকেট নিয়েছে ছাতারা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ