বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দ আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে এবং কাউন্সিলরবৃন্দকে এলজিআরডি এবং সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দোকার মোশাররফ হোসেন শপথবাক্য পাঠ করান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী এবং সিলেট বিভাগের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দ গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
শপথ গ্রহণ পর্ব শেষে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দের প্রতি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ভোটারদের প্রতি কর্তব্য সম্পাদনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জনগণকে সেবা প্রদানের জন্য শপথ নিয়েছেন কাজেই আপনাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে জনগণের উন্নয়নের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত প্রত্যেকটি টাকার সদব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভোট প্রদান করে নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচিত করায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ‘শস্য ভান্ডার’ হিসেবে বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত ১০ বছরে দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস সংগ্রামের প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৯ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় এসেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ জনগণ সত্যিই পরিবর্তনটা টের পাচ্ছে এবং তাদের দরিদ্র দূর হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের শাসনে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন খন্ডচিত্র তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী একশ’ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং এই উন্নয়নের ধারাকে টেকসই করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সূত্রঃঃ বাসস