ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দুটি শহরে ভয়াবহ সুনামির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায়, দেশটির মধ্যাঞ্চলের সুলাওয়েসি দ্বীপে ভয়াবহ এ ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩২ জনে। এরমধ্যে কেবল পালু শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮২১ জন এবং ডংগলাতে নিহত হয়েছেন ১১ জন।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত অন্তত ৫৪০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়াতে পারে। সুনামির তাণ্ডবে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন শহরের সাড়ে তিন লাখ বাসিন্দা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও অনেক মানুষ ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে। শুক্রবার দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। সুনামির ফলে সৃষ্ট ছয় থেকে সাত ফুট উঁচু ঢেউ সুলাওয়েসির পালু শহরকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
সুনামির পর দু’দিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে বেশির ভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কাল্লা জানান, আক্রান্ত এলাকায় ভূমিকম্প-পরবর্তী দেড়শ’র মতো আফটারশক আঘাত হেনেছে। প্রাণহানির সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
গত শুক্রবারের শক্তিশালী ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পরেই আছড়ে পড়ে ৩ মিটার উচু (১০ ফুট) সুনামি। এতে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট আর ভাঙা ব্রিজ পেরিয়ে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র সুতপো পারু নাগরোহো জানিয়েছেন, সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী পালু, ডোঙ্গালা ও অন্যান্য কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় তিন মিটার উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়েছে। উদ্ধারকারী দল ওই সব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।