মানুষের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

মানুষের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের মানুষের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে এদিন বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এবং ড. আবদুল মালেক। সকল বক্তা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনউপলক্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,আজ ২৮ সেপ্টেম্বর যেমন তথ্য অধিকার দিবস একইসাথে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তার নেতৃত্বেই ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখনই সংসদে তথ্য কমিশন আইন পাস হয় এবং সেই আইন বলে তথ্য কমিশন গঠিত হয়েছে। তথ্য কমিশন গঠন করার মাধ্যমে দেশের মানুষের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ১ লাখ ২১ হাজার আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এজন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে গিয়ে কোনো ফাইলের ছবি তোলারও প্রয়োজন নেই বা ফাইল থেকে কাগজ লুকিয়ে পাচার করারও প্রয়োজন নেই। সেটি যদি কোনো মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া না হয় এবং সেটি যদি এমন তথ্য না হয় যে সেটি রাষ্ট্রের গোপনীয় দলিল, সেটি দিতে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর কিম্বা কোনো বেসরকারি দপ্তর সেটি দিতে বাধ্য। আর যদি কোনো কারণে না দেয় তাহলে তথ্য কমিশনে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আছে।’
ড. হাছান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধানের ৩৯ ধারায় মানুষের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। সেই আলোকেই পরে তথ্য অধিকার আইন করা হয় এবং তথ্য কমিশন গঠন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশ রচনা করে গেছেন তা নয়, তিনি আমাদেরকে এমন একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন যে সংবিধানে জনগণকে রাষ্ট্রের মালিকানা দেয়া হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান যেটি ৭২ সালের সংবিধান পরবর্তীতে যেটি অনেক কাঁটাছেঁড়া করা হয়েছে, কাঁটাছেঁড়া করে পরবর্তীতে সেই সংবিধানের মূল চরিত্র নষ্ট করা হয়েছে, যদিওবা মূল চরিত্র আমরা অনেকটা ফিরিয়ে এনেছি। সেই সংবিধানে রাষ্ট্রের প্রতিটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একারণে সেটি সত্যিই অনন্য এবং খুব কম রাষ্ট্রের সংবিধানে এরকম আছে।’
মরতুজা আহমদ বলেন, তথ্য জানার অধিকার এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সেই অধিকার নিশ্চিত করেছেন, একারণে তার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মকবুল হোসেন বলেন, তথ্য জানার অধিকার সভ্যতার পথে মানুষের এগিয়ে যাবার অন্যতম প্রধান শক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের এই অধিকার প্রতিষ্ঠা জাতীয় জীবনে এক যুগান্তকারী অধ্যায়।
সভাশেষে ২০২০ সালে তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কমিটি ছয়টি পর্যায়ে মোট ১৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ প্রথম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আকতার দ্বিতীয় সম্মাননা অর্জন করেন।

Comments are closed.

More News...

ঈদ সমাজে পারস্পরিক সৌহার্দ্যতা বৃদ্ধি করে ……লায়ন গনি মিয়া বাবুল

লায়ন গনি মিয়া বাবুল কবিসংসদ বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত