বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি সফল সংগঠন

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি সফল সংগঠন

বাংলাদেশ সংবাদ- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি সফল সংগঠন। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ১৯৯১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বহু প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে আসছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী’ এই স্লোগানে প্রায় তিন দশক ধরে সংগঠনটি সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুঁইফোড় ও নামসর্বস্ব সংগঠনগুলোর তালিকায় ‘বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ’ এর নাম প্রচার করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ১৯৯১ সালে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের প্রতিষ্ঠা সময়ে এই সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সম্মতি প্রদান করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠনে প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জননেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার, ইনডেমনেটি অধ্যাদেশ বাতিল, গোলাম আজমের নাগরিকত্ব বাতিল, স্বাধীনতা ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের দাবিসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ অসংখ্য কর্মসূচি পালন করেছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ শোকাবহ আগস্টে, স্বাধীনতার মাস মার্চে ও বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতি বছর মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করে থাকে। এসকল কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে থাকেন। এছাড়াও সংগঠনটি প্রতি বছর স্মরণিকা, লিফলেট, পোস্টার, বইসহ নানা প্রকাশনা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় রয়েছে। এই সংগঠন কখনও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয় বা কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে নাই। সংগঠনটি নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সদস্যদের অর্থে পরিচালিত হয়ে আসছে। অদ্যাবদি সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে এই সংগঠন কোন আর্থিক অনুদান বা সহায়তা গ্রহণ করে নাই। সংগঠনটি আর্থিক সহায়তার জন্যে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কখনো আবেদনও করেনি। সংগঠনের কর্মকর্তা বা সদস্যরা নিজস্ব কোন প্রয়োজনেও সংগঠনকে ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্য বা সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করে নাই।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ অথবা সংগঠনের সদস্যের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করে নাই। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি পরিশুদ্ধ সংগঠন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ভুঁইফোড় ও নামসর্বস্ব সংগঠনগুলোর তালিকায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের নাম দেখে আমরা বিষ্মিত, হতবাক ও হতাশ হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ও এই সংগঠনের প্রত্যেকটি সদস্য সততার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে সর্বদা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন