দেশব্যাপী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশব্যাপী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, একজন সুস্থ শিশু কেবল একটি পরিবারের জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্যই সম্পদ। একটি পরিবারে একজন অন্ধ মানুষ থাকলে সেই পরিবারে আর্থিকসহ নানারকম কষ্ট ভোগ করতে হয়। বর্তমান সরকার যথাযথভাবে দেশের শিশুদের প্রতিবছর ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে দেশে বর্তমানে রাতকানা রোগ নির্মূল হয়েছে। এবছরও সরকার দেশব্যাপী ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি বাইশ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রতিটি মা তাদের নিজ নিজ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত টীকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
আজ রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কোভিডে দেশ এখনও অনেক ভালো আছে। তবে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের বেপরোয়া চলাফেরার কারনে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষত রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় কোভিড কিছুটা বেড়ে গেছে। সরকার কোভিডের নানারকম নতুন নতুন রূপ পরিবর্তন নিয়ে সজাগ রয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী অধিক কোভিড সংক্রমিত এলাকায় কোভিড টেস্ট ফ্রি করার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, কোভিডের এই ধাক্কাও দেশবাসী ঠিকভাবেই সামলিয়ে নিতে পারবে।”
উল্লেখ্য, ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সরকারের নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রসহ কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (এক লাখ আই ইউ) ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (২ লাখ আই ইউ) খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আরসেলান, মহাসচিব এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এনায়েত হোসেন। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে লাইন ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন