সোনার বাংলা গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্য-প্রযুক্তি-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সোনার বাংলা গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্য-প্রযুক্তি-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্য-প্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশি সাহায্যনির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয়নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এ বিষয়ে সম্প্রতি ১৪৭টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধান ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দেশে উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে, সম্পদ আছে এবং স্পৃহা আছে। আছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে ও এক লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। আইসিটি খাত থেকে প্রতি বছর দেশ এক বিলিয়ন ডলার আয় করছে। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হবার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম।
তথ্য-প্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে শামিল হতে জনগণের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার। জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে, সকল বিষয়ে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার যদি সঠিকভাবে করা না যায়, তবে এর বহুমাত্রিক উপযোগিতা থেকে দেশ বঞ্চিত হবে এবং এর খেসারত দেবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন