শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হওয়া প্রয়োজন- লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হওয়া প্রয়োজন- লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

বাংলাদেশ সংবাদ- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্র্র্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুুল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্ক অত্যন্ত সম্মানসূচক, বন্ধুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকরাই মূলত শিশুদেরকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। পৃথিবীতে বাবা-মা’র পরেই শিক্ষকদের অবস্থান। শিক্ষক হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে দার্শনিকের মতো, একজন দার্শনিকের যে গুণগুলো থাকা দরকার, সেসকল গুণ একজন শিক্ষকেরও থাকা প্রয়োজন। শিক্ষকদেরকে হতে হবে মানবিক গুণাবলিতে উজ্জীবিত পরিশুদ্ধ মানুষ।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সত্যনিকেতন বিন্দাবন রিসোর্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারবর্গ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ আনন্দে মেতে উঠে ছিলেন তারা যেন খুঁজে পেয়ে ছিলেন নিজেদের শৈশব ও স্কুল জীবনের নানা স্মৃতি। সাবেক শিক্ষার্থীরা স্কুল সহপাঠিদের একসঙ্গে পেয়ে যেন তাদের কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল। সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করে। সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শৈশব-কৈশোরের অনেক স্মৃতি আজকের মিলনমেলায় খুঁজে পেয়েছি। উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঐতিহ্যবাহী এই টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করেছেন। অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সাবেক শিক্ষার্থী মোস্তফিজুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহয়োগিতায় ছিলেন, সাবেক শিক্ষার্থী হা-মীম গ্রুপের ব্যবসায়ী নাজমুল হুদা ও শ্রীপুর শাখা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মিয়ার উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনায় ছিলেন, সাবেক শিক্ষর্থী নুরে আলম সিদ্দিকী কাইয়ুম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল আরও বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের মধ্যে নতুন সেতুবন্ধন হয়েছে। সুখ-দুঃখের স্মৃতির রোমন্থন করার সুয়োগ ঘটেছে। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুরুপ মিলনমেলার আয়োজন করার আহবান জানিয়ে বলেন, এই ধরণের মিলনমেলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করে।

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন