খাল ও লেকে পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধ করুন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

খাল ও লেকে পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধ করুন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- ঢাকা শহরের পয়ঃবর্জ্য খাল ও লেকে ফেলা বন্ধ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
একই সাথে শুধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা নয়, নিজের শহরকে ভালোবাসারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ভালোবাসা দিবস একদিন, শহরকে ভালোবাসি প্রতিদিন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ পয়ঃবর্জ্য খালে ও লেকে ফেলা হয়। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এই পয়ঃবর্জ্যের লাইন কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা করার পাশাাপাশি একটা টাইমলাইন নির্ধারণ এবং একটি কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ‘শুধু মানুষকে ভালোবাসলে হবে না, আমরা যে শহরে বসবাস করি সে শহরকে ভালোবাসার পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। নিজের আবাসস্থল, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে শহরের প্রতি ভালোবাসার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর নগরী দেখি তখন স্বাভাবিকভাবে মনে হয় যদি আমাদের শহরটিও এমন হতো। তিনি বলেন, তাদের শহর সুন্দর শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন করেনি। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিলো বলেই সম্ভব হয়েছে। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলেই কেবল ঢাকা নগরীকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
হাতিরঝিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ড্রিম প্রজেক্ট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের জন্য হাতিরঝিল নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন রাজধানীতে এরকম আরো অনেক হাতিরঝিল করা সম্ভব।
ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন রাজধানীতে যেসকল লেক আছে সেগুলো সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরের দাবি আসছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শুধু শহর নয় সারাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে পরিবর্তন অবধারিত।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এছাড়া কর্মশালায় রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন