জাতীয় বীজ বোর্ডের সভা,হাইজিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত অবমুক্ত

জাতীয় বীজ বোর্ডের সভা,হাইজিংকসমৃদ্ধ ধানের জাত অবমুক্ত

বাংলাদেশ সংবাদ- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত হাইজিংকসমৃদ্ধ ‘ব্রিধান ১০০’ জাত অবমুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় বীজ বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। মুজিববর্ষে এ জাতটি শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হবে। আজ ঢাকায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি মোঃ মেসবাহুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। একইসাথে, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত লবণাক্ততা সহিষ্ণু দেশি পাটের (বিজেআরআই দেশী পাট-১০) জাত অবমুক্ত করা হয়েছে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ব্রি উদ্ভাবিত শততম জাতের (ব্রি ধান১০০) অবমুক্তকরণ এটি। ব্রি’র তথ্যে জানা যায়, ‘ব্রিধান ১০০’ হাইজিংকসমৃদ্ধ। জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৭০ মিলিগ্রাম। দেশের ১০টি স্থানে ট্রায়াল করে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে। জাতটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। এটি বোরো মৌসুমে চাষের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি মোঃ মেসবাহুল ইসলাম বলেন, মুজিব শতবর্ষে উচ্চজিংকসমৃদ্ধ ‘ব্রিধান ১০০’ অবমুক্ত করতে পারা খুবই আনন্দের। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির অধিকাংশ ক্যালরি, প্রোটিন ও মিনারেল আসে ভাত থেকে। ভাত তাদের কাছে সহজলভ্য। জিংকসমৃদ্ধ এ জাতটি উদ্ভাবনের ফলে মানুষের জিংকের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।

সভায় বীজ ডিলার নিবন্ধন ও নবায়নের ক্ষেত্রে ‘সেবা সহজীকরণ’ এর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এখন থেকে বীজ ডিলারদের নিবন্ধণ ১ বছরের পরিবর্তে একসঙ্গে ৫ বছরের জন্য দেয়া হবে। এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম বলেন, সেবা সহজীকরণের ফলে ডিলারদের প্রতিবছর নবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে আসতে হবে না। ফলে হয়রানি অনেক হ্রাস পাবে।

এছাড়া আগামী মৌসুমের জন্য পাটবীজ আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে বোর্ড। ২০২১-২২ উৎপাদন বর্ষে পাটবীজের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।

Comments are closed.

More News...

দুগ্ধ শিল্পে বিনিয়োগকারীদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

কৃষি গবেষণায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার-কৃষিমন্ত্রী