পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে-কৃষিমন্ত্রী

পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে-কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক । মন্ত্রী আজ ভার্চুয়ালি ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ইকোলজিক্যাল সোসাইটি অভ্ বাংলাদেশ এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে মাটি ও পানি হলো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এ দুটির গুণাগুণ ধরে না রাখতে পারলে এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ ভাল না রাখতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংস হবে। কাজেই প্রকৃতি ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ করতে হবে। কোনভাবেই যাতে প্রকৃতি ও প্রতিবেশ নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত সচেতন ও সচেষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান বিশাল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ক্রমহ্রাসমান স্বল্প জমি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। সেজন্য, ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সার, কীটনাশকসহ কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে। আমরা যতই বলি প্রাকৃতিক পরিবেশে অর্গানিকভাবে কৃষি উৎপাদন করব; কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের মতো জনবহুল দেশে কেমিক্যাল ব্যবহার এড়ানো যাবে না। কারণ, স্বল্প জমি থেকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে না পারলে, শুধু প্রাকৃতিকভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তবে কেমিক্যাল বা ইনঅর্গানিক উপাদানের ব্যবহার কীভাবে কমিয়ে আনা যায় ও পরিবেশ রক্ষা করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি এসময় কেমিক্যালের ব্যবহার কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে প্রযুক্তি ও সমাধান বের করার জন্য গবেষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. রাজ্জাক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাবার- এই তিনটি নিশ্চিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পুষ্টি নিশ্চিতে শুধু শাকসবজি নয়, প্রয়োজন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম প্রভৃতি। একদিকে দেশের অধিকাংশ মানুষের আয় কম; অন্যদিকে অর্গানিক পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদন করলে উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্যপণ্যের দামও বাড়বে। এতে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টিসম্মত খাদ্য কিনতে পারবে না। পশ্চিমা বিশ্বে অর্গানিক কৃষি সম্ভব। তাদের জমি বেশি, সম্পদ বেশি। মানুষের আয়ও বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ অর্গানিক পদ্ধতিতে যে উৎপাদনশীলতা থাকবে তাতে কোনভাবেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ। ইকোলজিক্যাল সোসাইটি অভ্ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এম আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন