বিএনপি সবকিছুতেই লুটপাট দেখে- তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি সবকিছুতেই লুটপাট দেখে- তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- ‘নিজেরা লুটপাটের দল বলেই বিএনপি সবকিছুতে লুটপাট দেখে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরীসহ রফিক উল্যা সিকদার, কাজী আনোয়ার কামাল, মাসুদুর রহমান, নীতিশ সাহা সভায় করোনাকালে সংবাদপত্র শিল্পরক্ষার নানাদিক নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে লুটপাট করছে’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছিল, এই করোনা মহামারি সরকার সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবে না। তারা প্রথম থেকেই ধারণা এমনকি হয়তো প্রার্থনাও করেছিল যে, এই মহামারিতে যেন ব্যাপক লোকক্ষয় হয় এবং দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। তাতে তারা প্রচণ্ড হতাশ হয়ে ভুল সংবাদের প্রেক্ষিতে গুজব রটিয়েছিল, সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে না।’ কিন্তু ভ্যাকসিন সঠিক সময়েই আসছে, এমনকি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আমরা বিনামূল্যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি যখন সবকিছুতেই ব্যর্থ হচ্ছে, তখন ভ্যাকসিন নিয়ে লুটপাটের কাল্পনিক কথা বলছে। প্রকৃতপক্ষে লুটপাটের দল তো বিএনপি, সেজন্য তারা সবকিছুতেই লুটপাট দেখার চেষ্টা করে।’
ভ্যাকসিন সরকার একটি নীতিমালার ভিত্তিতে প্রয়োগ করবে এবং যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার এই করোনা মহামারির ক্ষেত্রে তারা নিশ্চয়ই প্রথমে ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার রাখে, ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করবে, যাদেরকে আগে দেয়া প্রয়োজন তাদেরকে আগে দেয়া হবে। সাংবাদিকরা এই করোনা মহামারির সময় অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে কাজ করেছে। আমি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো। ‘তবে বিএনপি যদি আগে ভ্যাকসিন পেতে চায়, তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি, বিএনপিকে যেন আগে ভ্যাকসিন দেয়া হয়’ বলেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘দেশে সরকার কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি কায়েম করেছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো, উনি যেই দল করেন সেই দলে যে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি আছে, আগে সেটি নিয়ে একটু কথা বলুন। একজন শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েদী আর আরেকজন শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামী, সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে যেটি বলে সেটিই হয় এবং সেভাবে তাদের দলে সিদ্ধান্ত হয়।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দলে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থাকলে কাদের মির্জা এতো কথা বলতে পারতেন না, কারণ বললে সে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হতো, সেটি হয়নি। অথচ তাদের দলের মেজর হাফিজ তাদের একটু সমালোচনা করেছে, সেজন্য তাকে যে ভাষায় শো-কজ করা হয়েছে, সেই দলের মহাসচিবের এই রাজনীতি নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।’

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন