পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ শুরু- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ শুরু- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ সংবাদ- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পায়রা বন্দরকে গতিশীল করতে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীরতা ৬ দশমিক ৩ মিটার বজায় রাখার মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের গতিশীলতা ধরে রাখার লক্ষ্যে রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) জরুরি মেইনটেনেন্স (রক্ষণাবেক্ষণ) ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে রাবনাবাদ চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে যার ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট বিশিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক বিদেশি জাহাজ বন্দরে আগমন করবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা সংযোজিত হবে। তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজটি নিজস্ব অর্থায়নে করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে পারছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও চিন্তাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কমান্ডার এম রাফিউল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম মামুনুর রশীদ, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর রাজীব ত্রিপুরা এবং ড্রেজিং কোম্পানী জান ডে নুল (jan de nul) এর প্রতিনিধি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর ২০৩৫ সালে দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড শুধু দেশে নয়; সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে; ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। উল্লেখ্য, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ৬ দশমিক ৩ মিটার গভীরতা বজায় রাখার লক্ষ্যে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানী জান ডে নুল (jan de nul) এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর এক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর সরকারের একটি জাতীয় অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প এই বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে এই বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া বন্দরের সার্ভিস জেটি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে এবং সংযোগ সড়ক ও আন্দারমানিক নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ অতিশীঘ্র শুরু হবে।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন