শেবাচিম ছাড়া বরিশালের কোনো হাসপাতালে নেই আইসিইউ

শেবাচিম ছাড়া বরিশালের কোনো হাসপাতালে নেই আইসিইউ

বাংলাদেশ সংবাদ- বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পরেছে। এ পরিস্থিতিতে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিভাগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা বাড়ানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ভোলা ছাড়া বাকি পাঁচটি জেলায় ২৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীসহ বরিশালে ১৫, পটুয়াখালীতে ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ৪ ও ঝালকাঠিতে ৪ জনের করোনা পরীক্ষার রির্পোট পজিটিভ পাওয়া গেছে।

এছাড়া এ পর্যন্ত বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বরগুনা জেলার আমতলীতে একজন করে তিনজন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সংকটাপন্ন রোগীদের ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার জন্য আইসিইউ প্রয়োজন হয়। এ বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ৫৫৮টি আইসোলেশন (পৃথক রাখার) শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রয়েছে ১৫০টি শয্যা। বাকি ছয় জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় ৪০৮টি শয্যা হয়েছে।

পুরো বিভাগের মধ্যে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে শুধু আইসিইউর সুবিধা আছে। এখানে ১৮টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। সম্প্রতি আরও ১০টি ভেন্টিলেটর এই হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। সেগুলো স্থাপনের কাজ চলছে।

সূত্রমতে, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বরিশাল বিভাগে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার প্রস্তুতি নেওয়ার দাবি জোরালো হতে থাকে। এক সপ্তাহ আগে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে দলে দলে মানুষের গ্রামে ফেরার ঘটনায় ব্যাপকভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এরপর হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়।

Comments are closed.

More News...

ঈদ সমাজে পারস্পরিক সৌহার্দ্যতা বৃদ্ধি করে ……লায়ন গনি মিয়া বাবুল

লায়ন গনি মিয়া বাবুল কবিসংসদ বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত