নতুন করে ১ হাজার ২৯০ জন অতিরিক্ত মৃত্যুর কথা জানিয়েছে চীন

নতুন করে ১ হাজার ২৯০ জন অতিরিক্ত মৃত্যুর কথা জানিয়েছে চীন

বাংলাদেশ সংবাদ- উহান, চীনা যে শহর থেকে করোনা ভাইরাসটি গত বছরের শেষের দিকে প্রথম আবির্ভূত হয়েছিল। সেখানে নতুন করে ১ হাজার ২৯০ জন অতিরিক্ত মৃত্যুর কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। তারা বলছে, যা পূর্বে গণনা বা রিপোর্ট করা হয়নি, ভুলভাবে জানা গেছে এবং পুরোপুরি মিস হয়েছে। পুনর্বিবেচনার ফলে উহানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৯ থেকে ৩ হাজার ৮৮৯ এ দাঁড়িয়েছে। খবর আল জাজিরা।

করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বলে আসছে, আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি করছে চীন। এর মধ্যেই নতুন করে প্রায় ১৩শ’ মানুষের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করল চীন।

এই পুনর্বিবেচিত তথ্য উহান নিউ করোনারি নিউমোনিয়া মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সদর দফতর, উহান পৌর স্বাস্থ্য এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের যৌথ রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়। এই সংশোধনীর হিসাবে, উহানে নতুন করে আরও ৩২৫টি অতিরিক্ত আক্রান্তের সংখ্যাও যুক্ত করা হয়েছে। এতে উহানে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৩৩৩ জন।

এদিকে নতুন যোগ হওয়া সংখ্যা সহ চীনে মোট মৃত দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৬৯২ জন। সুস্থ হয়েছে ৭৭ হাজার ৯৪৪ জন।

চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রকাশিত তথ্যের সাথে পূর্ব প্রকাশিত তথ্যগুলির পার্থক্যের কারণগুলি হলো:

প্রথমত, মহামারীটির প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রচুর ভীড় হওয়ার কারণে চিকিৎসার জায়গা স্বল্পতা দেখা দেয়। ওই সময় কিছু রোগী হাসপাতালে জায়গা পায়নি এবং তারা বাড়িতে মারা যান।

দ্বিতীয়ত, আক্রান্তদের চিকিৎসার শীর্ষ সময়কালে, হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভীড়, চিকিৎসা কর্মীদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল। তখন স্বভাবতই পরিস্থিতির কারণে রিপোর্ট দিতে দেরি করেছে, রিপোর্টে সংখ্যা বাদ পড়া এবং কিছু ভুল রিপোর্টও হয়েছে।

তৃতীয়ত, রোগীদের জন্য মনোনীত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলির দ্রুত বৃদ্ধির কারণে মন্ত্রণালয়, প্রদেশ, পৌরসভা ও জেলার অধীনে অসংখ্য হাসপাতাল ছিল। যার ফলে কয়েকটি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান মহামারী নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং প্রতিবেদন ও তথ্য প্রেরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

চতুর্থত, কিছু মৃত্যুর নিবন্ধন ছিল অসম্পূর্ণ, ফলে সেখানে পুনরায় প্রতিবেদন করা এবং কিছু ভুল প্রতিবেদনও ছিল।

একাধিক বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বলেছিলেন যে ভাইরাসের কারণে চীন তাদের অর্ধেক মানুষকে তাদের ঘরে আবদ্ধ করে রেখেছিল এবং এ ভাইরাসের সম্পূর্ণ ঘরোয়া প্রভাব সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য প্রকাশ করছিল না। যেখানে এখন সারা বিশ্বে ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন