নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

বাংলাদেশ সংবাদ- ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ দলের। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত সে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছিল টাইগারদের। তবে প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের মধ্যে ৩টিতেই এসেছিল সহজ জয়, টেবিলের শীর্ষে থেকেই খেলেছিল ফাইনাল ম্যাচ।

সে সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ফলে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া ১৬০ রানের জয় ছাপিয়ে সেটি উঠে যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডের শীর্ষে। এতদিন ধরে এটিই ছিল উপরে।

আজকের (রোববার) পর এটি নেমে গেল দুই নম্বরে। কেননা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৬৯ রানের ব্যবধানে, যা কি না টাইগারদের ৩৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড।

এ রেকর্ডের সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছিল প্রথম ইনিংস শেষেই। লিটন দাসের ঝকঝকে সেঞ্চুরি (১০৫ বলে ১২৬*), মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরি (৪১ বলে ৫০) আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ক্যামিওতে (১৫ বলে ২৮*) বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২১, যা কি না ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজটা করে বল ঠেলে দেয় বোলারদের কোর্টে। ব্যাটিংয়ের ঝড়ো ইনিংসের রেশটা বল হাতেও চলমান রাখেন সাইফউদ্দিন। নতুন বলে পাঁচ ওভারের স্পেলে মাত্র ৬ রান খরচায় নেন ২ উইকেট, যা এনে দেয় উড়ন্ত সূচনা। সেটি ধরে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট করতে কোনো ভুল করেননি মেহেদি মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানরা।

এর মধ্যে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ছিল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার উইকেট পাওয়ার ঘটনা। ইনিংসের নবম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক চামু চিবাবাকে আউট করেন মাশরাফি। ফলে থামে তার পাঁচ ম্যাচের উইকেটখরা, তার নামের পাশে উইকেট জমা হয় ২৫৪ বল পর। সব শেষে মুতুমবদজির উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের নাম তোলেন জয়ের খাতায়।

মাঝে খানিক প্রতিরোধ গড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ওয়েসলে মাধেভের। তাকে শর্ট কভারে মাশরাফির ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদি মিরাজ। তখন ৮৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একশ’র নিচেই অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

রিচমন্ড মুতুম্বামি ১৪ বলে ১৭, চার্ল মুম্বা ১৩ ও টিনোটেন্ডা মুতোমবদজি ২৪ রান করলে দেড়শ ছাড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তারা অলআউট হয় ১৫২ রানে, বাংলাদেশ জয় পায় ১৬৯ রানে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় জয়
ব্যবধান ১৬৯ রান – বনাম জিম্বাবুয়ে (২০২০)
ব্যবধান ১৬৩ রান – বনাম শ্রীলঙ্কা (২০১৮)
ব্যবধান ১৬০ রান – বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০১২)
ব্যবধান ১৪৬ রান – বনাম স্কটল্যান্ড (২০০৬)
ব্যবধান ১৪৫ রান – বনাম জিম্বাবুয়ে (২০১৫)

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন