রাজধানীতে ল্যাম্পপোস্ট নষ্ট থাকায় ছিনতাই- অপরাধ বাড়ছে- ডিবি

রাজধানীতে ল্যাম্পপোস্ট নষ্ট থাকায় ছিনতাই- অপরাধ বাড়ছে- ডিবি

বাংলাদেশ সংবাদ- ঢাকা মহানগরীর বেশকিছু এলাকায় রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট নষ্ট এবং অলিগলি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বাড়ছে। দায়িত্বশীলদের বিষয়টি নজর দিতে হবে; না হলে অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪২ চিহ্নিত ছিনতাইকারী গ্রেফতার নিয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।

গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত ডিবির সব বিভাগ একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে এসব ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে। এরা সকলেই পেশারদার ছিনতাইকারী এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। তাদের কাছ থেকে ৮৫টি ছিনতাই হওয়া মোবাইল, চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকার রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট আছে সেগুলো বেশির ভাগ নষ্ট এবং গলিগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এতে ওসব এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যেসব এলাকায় এমন অবস্থা আমাদের দায়িত্বশীলদের নজর দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে নগরবাসিকেও ওইসব এলাকা দিয়ে চলাচলের সময় সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে।

অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আব্দুল বাতেন জানান, ছিনতাইকারীরা সুযোগ পেলেই ছিনতাই কাজটি করে। তাদের আইনের আওতায় এনে পূর্ণাঙ্গ সাজার ব্যবস্থা না করা হলে অপরাধ কমানো সম্ভব হবে না। বেশির ভাগ সময় বাস-লঞ্চ টার্মিনাল এবং অন্ধকার গলিতে ছিনতাই হয়ে থাকে। আর সেটা গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত।

বাতেন বলেন, ছিনতাই মোবাইল কোথায় যায় এটা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখেছি ছোট খাটো যে মোবাইল পার্স-এর দোকান আছে তারা এসব চোরাই মোবাইল কিনে থাকে। বসুন্ধরা, মোতালেব প্লাজার অনেক দোকানদার আছে যারা এসব চোরাই মোবাইল কিনে থাকেন। এসব মোবাইল সরাসরি মানুষের কাছে বিক্রি করে না। বিশেষ করে কারও মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে চোরাই মোবাইলের পার্স খুলে বিক্রি করা হয়। এসব পার্স বিক্রি করলে যে লাভ হয় তা মোবাইল বিক্রি করলেও হয় না। চোরাই মোবাইলের বিক্রি ও কেনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। অচিরেই সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হবে।

মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাই বেশি হয়, এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কি ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে আব্দুল বাতেন বলেন, যেসময় গুলোতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটে তা বন্ধ করতে আমরা বাস-লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে প্রেটোল জোরদার করব। সঙ্গে গোয়েন্দানজরদারিও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে ওই সব এলাকায় চিহিৃত ছিনতাইকারী যারা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

শনিবার ভোরে কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় রিকশা থেকে পরে তারিনা বেগমের মৃত্যু বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বাতেন বলেন, আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করছি। এই ব্যাপারে মামলা হবে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।

ছিনতাইয়ের ঘটনায় নগরবাসী মামলা করতে নিরুসাহিত হয় এর কারণ কী পুলিশের কোন দায়? এমন প্রশ্নে বাতেন বলেন, দায় বললে হবে না, এটা দায়িত্বশীলতা। নাগরিক হিসেবে আপনার দায়িত্ব- কোথাও কোন অপরাধ হলে তা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়া। তাছাড়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয় না অপরাধ সম্পর্কে জানা কিংবা অপরাধীকে সনাক্ত করা। নগরবাসীকে বলতে চাই, আপনারা থানায় যাবেন অভিযোগ দিবেন। থানা যদি মামলা বা অভিযোগ নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে আমাদের ঊর্ধ্বতনদের জানাবেন। তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী পাপিয়াকে রিমান্ডে এনে কী জানতে চাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে আমরা তা তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা এবং ক্রিমিনাল অপরাধ সেগুলো চিহ্নিত করছি। আমরা বিষয়টি আপনাদের পরে জানাবো।

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন