বিজেপিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় ধাক্কা

বিজেপিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় ধাক্কা

বাংলাদেশ সংবাদ – এনআরসিসহ নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দ্যুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিলো রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের করিমপুর, খড়গপুর ও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল ৩টি আসনেই বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে।

একটি আসনও ধরে রাখতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির গেরুয়া শিবির। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর (সদর) কেন্দ্র নিজেদের দখলে নিল তৃণমূল। ১৯৯৮ সালে দল তৈরি হওয়ার পর থেকে গত ২১ বছর ধরে আমরা কোনও দিন কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর আসন জিততে পারেননি মমতা।

শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনে তৃণমূল যে ভোটের ব্যবধানে হেরেছিল তা দ্বিগুণ ব্যবধানে এবার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। বলা যায়, চমকে দেয়ার মতো পুনরুত্থান ঘটলো তৃণমূল কংগ্রেসের।

২০১৮ সালের লোকসভায় ধাক্কায় খেলেও এবার উঠে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ২০২১ সালের দেশটির সাধারণ নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে বিজেপিকে বেশ চ্যালেঞ্জই দিল রাজ্যের শাসক দল।

নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাওয়ায় বেশ নিশ্চুপ বিজেপি। রাজ্যের নেতারা মুখ খুলছেন না। তারা সবচেয়ে লজ্জায় পড়েছে খড়গপুর আসনে। কারণ ওই আসনটি ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি গত মে-জুন মাসের লোকসভা নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় আসনটি শূন্য হয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেমন চমক দেখিয়েছিলেন এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পতনও হয়তো শুরু হলো।

অপর দিকে আনন্দের বন্যা বইছে শাসক দলে। জয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য ও অহংকার’-কে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। যখন তখন যেকোনো রাজ্যে যা খুশি করছে। বিজেপি কখনো এনআরসি, কখনো অন্য কিছু নিয়ে যা খুশি প্রচার করছে। এই মানুষরাই দীর্ঘ দিন ধরে ভোট দিয়েছেন, এমপি-এমএলএ বানিয়েছেন, সমস্ত কাজ করেছেন।’

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন