রোহিঙ্গাদের ইন্দন দিচ্ছে সরকার – গয়েশ্বর

রোহিঙ্গাদের ইন্দন দিচ্ছে সরকার – গয়েশ্বর

বাংলাদেশ সংবাদ – নিজের স্বার্থেই কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ নামে একটি সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, তার প্রতি সম্মান রেখেই আমি বলতে চাই। আপনি তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য ফ্রন্টে আসেন নাই। আর এটা আমরা জানি যে, আপনি আপনার রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় ফ্রন্টে এসেছিলেন। আর নিজের স্বার্থ বিবেচিত হয়নি বলেই সেখান থেকে আপনি ফেরত যাবেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আর এটা বুঝার মতো সক্ষমতা আপামর জনগোষ্ঠীর আছে।

কাদের সিদ্দিকীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাকে একটা কথা বলতে চাই, আপনি কেন তারেক রহমানকে নেতা বানাবেন? ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই তারেক রহমান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

আর তারেক রহমান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো, পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। তাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়। তারেক নেতা বলেই বিদেশে বসে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু আকার-ইঙ্গিতে কেউ তার নেতৃত্বের প্রতি অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেননি। আর তারেক রহমানকে নেতা আপনাকে বানাতে হবে। কারণ নেতা তৈরি হয় জনগণের ইচ্ছার উপর।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া আসবেন। কিন্তু যদিও শেখ হাসিনা চান, কারাগারে বেগম জিয়াকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করতে। কারণ বেগম জিয়ার মৃত্যু হলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।

রোহিঙ্গাদের ইন্দন দিচ্ছে কারা-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ইন্দন দিচ্ছে সরকার। যদি ইন্দন না দেয় তাহলে তারা লাখ লাখ সমবেত হয়ে সমাবেশ করে কিভাবে? বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে যেখানে সভা-সমাবেশ করতে দেন না। সেখানে উন্মুক্ত ময়দানে রোহিঙ্গারা সমাবেশ করছে। সেখানে আমি তো মনে করি, সরকারের ইন্দন রয়েছে।

রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আর এই উদ্যোগটা সরকারকে নিতে হবে। আরো বলা হচ্ছে যে, রোহিঙ্গারা যেতে চায় না। কেনো যেতে চায় না। ওই যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ইন্দন। যদি তারা চলে যায়, তাহলে আপনি তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। আর তাদেরকে রেখে যদি জাতীয় সংকট সৃষ্টি করতে চান তাহলে সেটা অন্য কথা!

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতে হবে। এই শব্দটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়। কারণ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার কখনো আদালত করে না। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার হয় জনগণের আদালতে। আর আমরা দৃঢ়তা ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং জনগণের চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, জনগণের আদালতে খালেদা জিয়া এখনো দোষী সাব্যস্ত হয় নাই।

তিনি বলেন, আমাদের মনোবল ও শক্তির উপর কোনো আস্থার অভাব আছে। সেই কারণে বলছি, আমাদের আরো ভাবতে হবে। আর ঘরে- বাইরে এই চক্রান্ত কে করছে? এটা আজকে আমাদের বুঝতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদেরকে সুযোগ গ্রহণ করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Comments are closed.

More News...

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন