প্রস্তাবিত বাজেট তামাশা ছাড়া কিছুই না – জামায়াত

প্রস্তাবিত বাজেট তামাশা ছাড়া কিছুই না – জামায়াত

বাংলাদেশ থেকে – ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের পক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মোস্তফা কামাল অনির্বাচিত জাতীয় সংসদে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার মোটা অঙ্কের ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন, তা বাস্তবতা বিবর্জিত। গত বছরের বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটও সরকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে না।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে মোট এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, বৈশ্বিক ঋণ ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, দেশীয় ঋণ ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। বাজেটের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগই ঋণ নির্ভর। এই ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই সরকারের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। মুদ্রাস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রকৃত পক্ষে মূদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।’

এবারের জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ এবং গত বছর জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭.৮৬। সেটা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সরকার নানা ধরনের গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দাবি করলেও অর্থনীতিবিগণ তা মানতে রাজি নয়। এবারের জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে না।’

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। অথচ গত কয়েক বছর যাবতই একই পরিমাণ করমুক্ত আয়ের সীমা রাখা হচ্ছে। এটা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। বাস্তবতার নীরিখে করমুক্ত আয়ের সীমা অন্তত ৫ লাখ টাকা হওয়া উচিত। সরকার গত বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এবং এবারও তা অর্জন করতে পারবে না।’

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘দেশের কর্মক্ষম বেকার লোকের কর্মসংস্থানের কোনো দিক-নিদের্শনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ধনিক শ্রেণি খুশি হলেও দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হতাশার বার্তা দিচ্ছে। যেহেতু সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। তাই দেশের সীমিত আয়ের বৃহৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থককে উপেক্ষা করা হয়েছে।’

প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া পরে জানানো হবে বলেও জানান জামায়াত সেক্রেটারি।

Comments are closed.

More News...

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভোটগ্রহণ ৯ মার্চ