পুনরায় দিল্লির সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী

পুনরায় দিল্লির সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী

বাংলাদেশ সংবাদ – পুনরায় দিল্লির সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ভারতের সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শেষে ভোট গণনায় এখন পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে আছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয় গণনা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য পুনরায় দিল্লির সিংহাসনে বসতে যাচ্ছে বিজেপি।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ৩৩১ টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ১০০ টি আসন এবং অন্যান্য ১১১ টি আসন।

এবারের নির্বাচনে ভোট হয়েছে ৫৪৩ আসনে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন।

ভারতের এবারের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৯০ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সাত দফার এ নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ম্যারাথন ভোটযজ্ঞ শুরু হয়েছিল গত ১১ এপ্রিল। প্রথম দফার ভোটে ভোটদানের হার ছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় এবং ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ৬৬ শতাংশ ভোট পড়ে। ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোটদানের হার ছিল ৬৪ শতাংশ। ৫৭.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ে পঞ্চম দফায়। ৬৩.৩ শতাংশ ভোট পড়েছে ষষ্ঠ দফায় আর সপ্তম তথা শেষ দফায় ৭৮.৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।

অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রবক্তা এনডিএ-র। ১৯৯৬ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আহ্বানে গড়ে উঠেছিল এই জোট। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বে এই জোটের সরকার ছিল। তার পর ২০১৪ সালে অর্থাৎ গত লোকসভা ভোটে ফের সরকার গঠন করে এই জোট। তবে গত পাঁচ বছরে অন্যতম বড় শরিক অন্ধ্রপ্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টি জোট ছেড়েছে। বর্তমানে এই জোটের শরিক মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, তামিলনাড়ুর এডিএমকে, বিহার-ঝাড়খণ্ডে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির পাশাপাশি পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলও রয়েছে।

অন্যদিকে ইউপিএ জোট শুরু হয় ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট। সেই জোটের নেতৃত্বেই পর পর দু’বার ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিংহ। বর্তমানে এই জোটে রয়েছে মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, বিহার-ঝাড়খণ্ডে লালুপ্রসাদ যাদবের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরজেডি), কর্নাটকের জনতা দল সেকুলার এবং জম্মু কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বে ন্যাশনাল কনফারেন্স। কর্নাটকে এই জোটের সরকার রয়েছে। পাশাপাশি কয়েক মাস আগেই মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে বহুজন সমাজ পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি। ফলে ভোটের ফল ঘোষণার পর আরও কয়েকটি দল তাদের জোটে শামিল হবেন বলে আশা এই জোটের নেতৃত্বের।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন