কপাল পুড়তে পারে আওয়ামীলীগের এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের

কপাল পুড়তে পারে আওয়ামীলীগের এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের

বাংলাদেশ সংবাদ – আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন । ২১তম কাউন্সিলের আগেই দলের তৃণমূলকে সুসংগঠিত ও ঢেলে সাজাতে ঈদের পর জেলা-উপজেলায় কাউন্সিল করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটানো, যোগ্য নেতৃত্ব তুলে আনা ও অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি মাথায় রেখেই রমজানে বিভাগীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।  

ইতিমধ্যেই ২১তম কাউন্সিল ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছেন। চলতি রমজানেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতেই বর্ধিত সভা করার কথা রয়েছে। বর্ধিত সভায় তৃণমূলের কোন্দল নিরসন ও কাউন্সিলের তারিখ ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি ও পৌর-কমিটি নিয়ে বিশেষ কাউন্সিল বা বিশেষ সভা কিংবা সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগও নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।  যেসব অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কমিটি নেই সেখানে কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে। 

তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে গতিশীল করতে প্রবীণ-নবীনদের সমন্বয়ে মহানগর, জেলা-উপজেলায় কমিটির গঠন করবে আওয়ামী লীগ। এতে এবার কপাল পুড়তে পারে সদ্য নির্বাচিত এমপি ও উপজেলার চেয়ারম্যানদের। তাদের জায়গায় আনা হতে পারে এক ঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে চায় আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে, যাদের দলের প্রতি অনুগত এবং দলের অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তিন নম্বরটি যে দায়িত্ব পালনে কর্মক্ষমতা। এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই নেতৃত্ব বাছাই করবে দলটি।  

সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে যারা দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে তাদের বিষয়টি মাথায় রেখেই তৃণমূল গোছাবে আওয়ামী লীগ। উপজেলা নির্বাচনের যারা নৌকা মার্কার সরকারি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের তালিকা করছে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ছিটকে পড়তে পারেন তারা।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় আওয়ামী লীগে দিন দিন বাড়ছে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা। অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়েও সতর্ক থাকেই জেলা-উপজেলার কমিটিগুলোকেও গুছিয়ে আনবে আওয়ামী লীগ। 

এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একই ব্যক্তি ২টা নির্বাহী পদে থাকতে পারে না। নবীন-প্রবীণদের সমন্বয় করেই তৃণমূলকে ঢেলে সাজানো হবে। যারা দলের দুর্দিনে ডেডিকেটেড ছিলেন। দুঃসময়ে যারা জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকেছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। দলের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আমার সতর্ক রয়েছি। যারা শিক্ষিত, দলের প্রতি যাদের ত্যাগ রয়েছে তৃণমূলে তারাই নেতৃত্বে আসবে।

তৃণমূলের কাউন্সিল নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) ফারুক খান বলেন, এক ব্যক্তির পক্ষে একাধিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যারা উপজেলার চেয়ারম্যান বা এমপির দায়িত্ব পালন করছে তাদেরকে এবার কমিটিতে না রাখা বিষয় মাথায় রেখেই তৃণমূল গোছানো হবে। বাস্তবতার নিরিখেই জেলা-উপজেলা, নগর-মহানগর কমিটি গঠন করা। আর যেসব এমপিরা উপজেলার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করেছে তাদের বিষয়ে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা তালিকা তৈরি করছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন