জাতির পিতা একটি সুন্দর দেশ গড়তে চেয়েছিলেন – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতা একটি সুন্দর দেশ গড়তে চেয়েছিলেন – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ সংবাদ – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ জাতির পিতা একটি সুন্দর দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। ‘

শনিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন , ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানব দরদি ছিলেন। নিজের বই গরিব ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। স্কুলে যাওয়ার সময় নিজের ছাতা অন্যকে দিয়ে দিতেন। নিজের গোলার ধান বের করে নির্দ্বিধায় গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ একটি উন্নত জীবন পাবে, এটাই তার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সে কাজ তিনি করে যেতে পারেননি। ১৫ই আগস্ট তাকে মেরে ফেলা হলো। আমি পরিবার হারালাম, আপনজন হারালাম, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হারিয়েছিল তাদের স্বাধীনতার চেতনা, উন্নত জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরিবারের সহযোগিতায় বিরাট হৃদয়ের অধিকারী হয়ে ওঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ দেশে প্রায়ই দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো। নিজের গোলা খুলে দিয়ে ধান বিলিয়ে দিতেন তিনি। আমার দাদা-দাদি কখনও বকাঝকা করেননি। সবসময় তার ভেতরে একটা দানশীল মনোভাব ছিল, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিল। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। আজকে আমাদের লক্ষ্য, তিনি যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘জাতীর পিতা মানব দরদি ছিলেন। অন্য ছাত্রদের নিজের বই, কাপড়, ছাতা বিলিয়ে দিতেন। এই যে বই দিয়ে দিলেন, কাপড়া দিয়ে দিলেন, এ জন্য আমার দাদা-দাদি কখনও আমার বাবাকে কিছু বলতেন না, বরং তাকে সবসময় সহযোগিতা করতেন। ভাবতেন তিনি দেশের জন্য কাজ করতেন। এ জন্য তাকে সাহায্য করতেন। আমার মাও সাহায্য করতেন। কখনও বাবার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করতেন না। এ কারণেই তিনি এত বড় ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছিলেন।’

এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার দেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাহেতা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এর পর বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে রক্ষিত মন্তব্যবহিতে মন্তব্য লেখেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও বঙ্গবন্ধুর বেদিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এটিএম ফজলে রাব্বি মিঞা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, আমির হোসেন আমু এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শেখ হেলালউদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ তন্ময় এমপিসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.

More News...

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন