আবারও একাধিক কমিটি; আশ্বাস!

আবারও একাধিক কমিটি; আশ্বাস!

বাংলাদেশ সংবাদ – নয় বছর আগের নিমতলী ট্রাজেডির পর এবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার পক্ষ থেকে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা শুনিয়েছেন বিভিন্ন আশ্বাসবাণী। পুরান ঢাকার অলিগলিতে বাসিন্দারা যেভাবে দিনের পর দিন মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস করছেন তা নিরসন করতে নানা উদ্যোগের কথা বলেছেন তারা। দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা। উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধনের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তারা আগুনের সূত্রপাতের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিজুল হককে কমিটির আহ্বায়ক এবং বিসিকের পরিচালক (প্রকল্প) আব্দুল মান্নানকে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বলে পিআইডি’র এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল ও বিকেলে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘চকবাজার এলাকার রাজ্জাক (হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন) ভবনে সংঘটিত আগুনের ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ থেকে হয়েছে। এরপরও এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং আগুন দুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “রাজধানীর পুরনো ঢাকার কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক কারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে কেমিক্যাল কারখানা স্থানান্তরের জন্য কেরানীগঞ্জে ‘বিসিক কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৫০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা এ প্রকল্পে ৯৩৬টি প্লট থাকছে। ২০১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।’
যদিও নয় বছর আগে নিমতলী ট্রাজেডির পর এরকম একাধিক উদ্যোগ ও সুপারিশের কথা জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু নয় বছরেও পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম সরেনি। উল্টো ২০১৭ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একবার এসব অবৈধ কারখানা ও গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলেও অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন অবশ্য বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্প্রতি তারা আবার সেই অভিযান শুরু করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে গেছে। এই অভিযান এখন আরও জোরদারভাবে পরিচালনা করা হবে।
রাতে ঢাকা মেডিক্যালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরান ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে একই ভবনে ব্যবসা, দোকান আর মানুষজন থাকেন। এর মধ্যে ছোট ছোট কারখানার থাকে। এই দুঃখজনক ঘটনার পর সবার টনক নড়বে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে হয় মানুষ বসবাস করবে, না হয় শিল্পকারখানা থাকবে। যেকোনও একটা সিদ্ধান্তে যেতে হবে।’

Comments are closed.

More News...

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল