বাংলাদেশ সংবাদ – বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ফিলিপাইনের রিজাল কর্মার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ম্যানেজার মারিয়া সান্তোষ দিগুইতো দোষী প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র মেকাটি শহরের মাকাতি রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
রিজার্ভ চুরিসহ তার বিরুদ্ধে করা আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিটির জন্য ৪ থেকে ৭ বছর করে জেল দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের এবিএস-সিবিএন নিউজ ও জিএমএ নিউজসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এখবর দিয়েছে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়।
ফিলিপাইনের মাকাতিতে জুপিটার স্ট্রিট শাখায় চলে যায় টাকাগুলো। তখন ওই শাখার ম্যানেজার ছিলেন মারিয়া দিগুইতো। আজ তার বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা হয়েছে। যেসব একাউন্টধারীর নামে অর্থ গিয়েছিল বলে অভিযোগ তার মধ্যে রয়েছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড স্যান্তোস ভারগারা ও এনরিকো টিওডোরো ভাসকুয়েজ।
রায় ঘোষণার পর মারিয়া দিগুইতোর আইনজীবী দেমিত্রিও কাস্টোডিও বলেছেন, তার মক্কেল ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত। তবে আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন।
উল্লেখ্য, বিশাল অংকের অর্থ পাচারের ইস্যুটি সারা বিশ্বকে আলোড়িত করেছে। সাইবার হামলায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থবিশ্লেষকরা। এর ফলে দুনিয়াজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরসিবিসির দাবি, সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলো এই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের গাফিলতিকে ঢাকার চেষ্টা করছে।
এই অর্থ চুরিতে দেশের ভেতরের কোনো একটি চক্রের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রথম দিকে তৎপরতা চালানো হলেও এখনও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অর্থ চুরির ঘটনা ঘটলেও সেসময় প্রায় একমাস তা গোপন রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত এর দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হয় তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে।
অর্থ চুরি নিয়ে সেসময় সরকারিভাবে একটি তদন্তও হয়। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। তার তদন্তে ঘটনায় জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজন হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই কয়েকজনের নাম উঠে আসে। তবে সেই তদন্ত প্রতিবেদনটি পরে আর আলোর মুখ দেখেনি।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হলেও অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করা এ মামলা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। ৩০ বারের মতো পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
Comments are closed.
এ রকম আরও খবর
ঢাকায় নৌকার হাট
কবির হোসেন রাজধানীর খিলগাঁও থানার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
| জাতীয়দামি জামদানি কেন লুকিয়ে রাখেন তাঁতি?
অফ হোয়াইট আর সোনালি জরির কাজ করা একটা জামদানি দেখাচ্ছিলেন
| অন্যান্যফলের মেলা
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় ফল
| জাতীয়খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার
খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার খুদে বিজ্ঞানীদের
| তথ্যপ্রযুক্তিফুলের রাজ্য
সবুজ-শ্যামল পাহাড়েঘেরা একটি অপূর্ব জায়গা হবিগঞ্জের ‘দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট’।
| জাতীয়ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি আর গাড়ি
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট চলছে। আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে
| জাতীয়পানির এটিএম
এটিএমে টাকা মেলে, এটা পুরোনো কথা। কিন্তু রাজধানীতে এমন দুটি
| অন্যান্যআরেকটি পাকিস্তানি রূপকথা
কে না জানে, ক্রিকেট বিস্ময় উপহার দিতে ভালোবাসে। তাই বলে
| জাতীয়More News...