একক বিচারপতির প্রতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অনাস্থা

একক বিচারপতির প্রতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অনাস্থা

বাংলাদেশ সংবাদ – চলমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে রিটের শুনানির জন্য গঠিত হাইকোর্টের একক ওপর অনাস্থা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি জেবিএম হাসানের একক বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানি হওয়া কথা ছিল। শুনানি শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবি এজে মোহাম্মদ আলী তাদের অনাস্থার কথা জানান।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীদের দাবি, যেহেতু রিট আবেদনটি এর আগে এক জ্যৈষ্ঠ বিচারপতির নেতৃত্বে দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হয়েছে, সেহেতু একক বেঞ্চেও একজন জ্যৈষ্ঠ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হওয়া প্রয়োজন। এ সময় হাইকোর্ট তাকে লিখিতভাবে অনাস্থার বিষয়টি জানাতে বলেন। তবে খালেদার জিয়ার আইনজীবীরা বিচারপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যান। পরে সোমবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত আদেশে ফলে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিচারপতি জেবিএম হাসানের একক বেঞ্চ গঠন করে দেন।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য শুনে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন এবং খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না যা জানতে রুল জারি করেন। কিন্তু বেঞ্চের অপর বিচারপতি (কনিষ্ঠ) খালেদা জিয়র প্রার্থিতা বাতিল করেন।’

গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন।

শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তিন কমিশনার।

পরে প্রার্থিতা বাতিল করা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনটি রিট দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।

Comments are closed.

More News...

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

পুরুষের কাজের প্রেরণা তার প্রিয়তমা …….লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল