বাংলাদেশ সংবাদ নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন চানখারপুল এলাকায় ‘শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউট’-এর উদ্বোধন করেন।
মোট ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’-এ বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। ১২তলা বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটে রয়েছে ৫৪ ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট, ৬০ শয্যাবিশিষ্ট হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার এবং অত্যানুধিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড।
বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, এই ইনস্টিটিউটে পোড়া রোগীরা যেমন উন্নততর সেবা পাবেন, তেমনি চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জরুরি ভাবে রোগী নিয়ে আসার জন্য ভবনের ছাদে হেলিপ্যাড সুবিধা থাকছে। সোলার প্যানেল ও বৃষ্টির পানি সঞ্চয়েরও ব্যবস্থা থাকবে। পার্কিংয়ে একসঙ্গে ১৮০টি গাড়ি রাখা যাবে। ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সঙ্গে একটি ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে ইনস্টিটিউট ভবনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে।
এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার কাজ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি জার্মানি থেকে আনা হয়েছে। এছাড়া ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও কানাডা থেকে কিছু সরঞ্জাম আনা হবে। হাসপাতালটির জনবল নিয়োগের জন্য প্রায় ২ হাজার ২শ পদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়া ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। প্রায় ৪ হাজার মানুষ অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয় যার মধ্যে প্রায় ৫শ মানুষ আগুলে পুড়ে মুত্যুবরণ করে। তারা সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি ভাংচুর করে, যার মধ্যে বিআরটিসি’র জন্য সদ্য ক্রয়কৃত ডবল ডেকার বাসগুলোও ছিল।
এখনও সে সব আগুলে পোড়া রোগীদের অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং তাঁদের সাহায্যার্থে তাঁর সরকার সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিতিৎসরকরাও তাদের সীমিত সামর্থ নিয়েই পীড়িত মানুষের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন।
জনগণের জন্যই তাঁর রাজনীতি এবং মানুষ পুড়িয়ে হত্যা এটা কি ধরনের রাজনীতি প্রশ্ন উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোন ভাবেই আর এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় (প্রেটল বোমা হামলার ঘটনা) বাংলাদেশের মানুষই তাদের প্রতিরোধ করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তাঁর সরকারের সাফল্যেরও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।