আজ মধ্যরাত থেকে গ্রাহকেরা মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলাতে পারবেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), এমএনপি সেবার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক-বিডি ও মোবাইল অপারেটরেরা জানিয়েছেন, তারা এ সেবা দিতে প্রস্তুতি শেষ করেছে।
অপারেটর বদলাতে গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যাবলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের (যেটায় যেতে আগ্রহী) কাস্টমার কেয়ার বা সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন সিমটি চালু হওয়ার কথা। একবার অপারেটর বদলালে গ্রাহককে নতুন অপারেটরে ৯০ দিন থাকতে হবে।
একবার অপারেটর বদলাতে গ্রাহকের ফি ৫০ টাকা। এর ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আছে। ফলে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতিবার অপারেটর বদলাতে গ্রাহককে নতুন সিম নিতে হবে। সিম পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্টের ওপরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১০০ টাকা কর আছে। ফলে সব মিলিয়ে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ১৫৮ টাকা। অবশ্য অপারেটরেরা গ্রাহক টানতে তাদের কাছ থেকে ফি কম নিতে পারে। ফলে অপারেটরেরা কত টাকা নেবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এর বাইরে অপারেটরের ফি আছে ১০০ টাকা, যা এমএনপি সেবাদাতাকে দিতে হবে।
জানা গেছে, সব কটি অপারেটরই এ সেবা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। আমাদের নেটওয়ার্ক দেশসেরা। গ্রাহকেরা এ নেটওয়ার্কে এলে তাদের অর্থের সবচেয়ে বেশি উপযোগিতা পাবেন। গ্রাহকেরা গ্রামীণফোনের ওপর তাদের আস্থা অব্যাহত রাখবে, এ আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’
এ দিকে দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর রবি আজিয়াটা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, তাদের গড়া দেশের বৃহত্তম ৪ দশমিক ৫ জি নেটওয়ার্কে গ্রাহককে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়ে তারা আনন্দিত। তাদের গ্রাহক হলে যেকোনো অপারেটরে ৫০ পয়সা মিনিট রেটে কথা বলা যাবে। রবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর বলেন, রবি ও এয়ারটেল নেটওয়ার্কে যোগ দিলে সেরা ভিডিও ও ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।