জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা তাঁর আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান ‘কারণ দর্শানোর’ এই নির্দেশনা দেন।
আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দেশনার জবাব দেয়ার জন্য বেগম জিয়ার আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দুদকের করা বিচারকাজে অসহযোগিতার অভিযোগের মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল।
তবে আদালত আগামী শুনানির দিন এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মামলার দুই আসামি আসামি আদালতের প্রতি অনাস্থা দেয়ার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। এ দুই আসামির জামিন বাতিল করেছেন আদালত।
ওই দুই আসামি হলেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট মামলা করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। খালেদা জিয়ার ছাড়াও মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী বর্তমানে পলাতক আছেন।