বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ও শক্তির উৎস। বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে মানবতার কল্যাণে সারা জীবন তিনি অকাতরে দুঃখবরণ ও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি আরো বলেন, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই মহিয়সী নারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ আগস্ট বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫১,৫১/এ পুরানা পল্টন ঢাকায় আয়োজিত আলোচনাসভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একজন আদর্শ নারী, তার গুণাবলী বর্তমান নারী সমাজের জন্যে অনুসরণ ও অনুকরণীয়। তিনি পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জীবনীমূলক লেখা আরো অধিক অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও বঙ্গমাতার গুণাবলীতে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের মাসব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গণ-আজাদী লীগ এর মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মোঃ জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতীন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি-জেএসপি’র চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ খান, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়েরী পত্রিকার সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক রাসেল, পাক্ষিক ইতি কথা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাবুল, সংগঠনের সদস্য লায়ন খান আক্তারুজ্জামান, মোঃ রাজিবুল ইসলাম রাজিব প্রমুখ।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, মাওলানা হাফেজ শামসুল হক হাবিবী।