জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস- ২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের মাসব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়। ১ আগস্ট সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট খান চমন-ই-এলাহী, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন খান, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য ড. জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিকী, মোঃ আরিফুল ইসলাম, কবি মায়ারাজ, শাহিন শোভন, মোঃ রাজিবুল ইসলাম রাজিব, মোঃ নাঈম হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগস্ট বাঙালি জাতির জন্যে অত্যন্ত শোকাবহ একটি মাস। এই মাসে জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের সুচনা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এই হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি কাজী রোজী এমপি বলেন, আগস্ট মাসের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাঙালি জাতি বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে চিরতরে হত্যা করতে চেয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নিষ্ঠুর শোকের ঘটনা আর দিতীয়টি নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে এই হত্যাকান্ডের বিচারের পথ পর্যন্ত রুদ্ধ করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই অধ্যাদেশ বাতিল ও বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের চুড়ান্ত রায় এবং পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তবে বাকি ঘাতকদের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর হবে জাতি তা প্রত্যাশা করে। তিনি দেশের সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রেী শেখ হাসিনা ও তার মনোনীতদের ভোট প্রদান করে জয়যুক্ত করার জন্যে তিনি আহ্বান জানান।