বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। ৬ দফা ঘোষণার ফলে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠি বুঝতে পেরেছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে দমাতে না পারলে পাকিস্তান শাসন করা যাবে না। তাই শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশপ্রেমিক বাঙালিদের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়। কিন্তু বাঙালি জাতি তা মেনে নেয়নি। ছাত্র জনতা, শ্রমিক-কৃষক এর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করতে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠি বাধ্য হয়। এই ৬ দফার মাধ্যমেই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ৬৯’র গণআন্দোলনে ৭০’র নির্বাচন এবং ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, যা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন।
৬ দফা দিবস উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে ৭ জুন সকালে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বিএনএ মিলনায়তনে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা বাঙালিদের মুক্তির সনদ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, সাবেক ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান আতিক, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনন্দ সেন, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী সোসাইটির সভাপতি আলমগীর শেখ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি সরদার মো. আলী বাদল, সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস, যুগ্ম সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন মনি ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।