বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বই পড়ার মাধ্যমে আনন্দ, জ্ঞান ও সক্ষমতা অর্জন হয়। বই পড়তে পড়তে মানুষের সুপ্ত গুণাবলী বিকশিত ও প্রসারিত হয়। জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যে প্রয়োজন উপযোগি বই পাঠ করা। শিক্ষার্থীসহ সকলে পাঠাভ্যাস বাড়াতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় গণপাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, নৌ-বন্দর ও বিমান বন্দরে যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন কর্মীদের জন্য গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ পরিশুদ্ধ ও সৃজনশীল হয়।
সোস্যাল চেইন ফর ডেভেলপম্যান্ট এর উদ্যোগে ‘বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার’ প্রকল্প এর উদ্বোধন উপলক্ষে ২৬ এপ্রিল সকালে নারায়নগঞ্জের চাষাড়াস্থ শীতল পরিবহনের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়নগঞ্জ সূধীজন পাঠাগার এর সহযোগিতায় নারায়নগঞ্জ-গুলিস্তান রুটে শীতল পরিবহনে এই প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইন্সট্রাক্টর ড. আলমাসুর রহমান। সূধীজন পাঠাগার এর পরিচালক কাশেম জামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারায়নগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম আবু হানিফ, শীতল এসি ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তার হোসেন গুগল ক্রাউড সোর্স এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী, লেখক বিধান চন্দ্র পাল, সোস্যাল চেইন ফর ডেভেলপম্যান্ট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এটিএম মমতাজুর করিম। আলোচনা শেষে অতিথিরা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার’ প্রকল্প এর শুভ উদ্বোধন করেন।