……….লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন অপরিহার্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম। জনগণের সুখে-দুখে ও তাদের যেকোন প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা করে থাকে। জনপ্রতিনিধি সৎ ও নিষ্ঠাবান হলে স্বচ্ছ-জবাবদিহীমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। মানুষের মানবিক মর্যাদা, সাম্য, ন্যায্যতা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সুশাসন, অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করা আবশ্যক।
বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৩ নভেম্বর বিকালে ঢাকার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সু-শাসন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা এডভোকেট লায়ন আবদুর রাজ্জাক মিয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের আহ্বায়ক এডভোকেট ড. মো. শাহজাহান, গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. আতাউল্লাহ খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শাহ আলম চুন্নু, লায়ন আলহাজ্ব রুহুল আমিন চিশতী, লায়ন সালাম মাহমুদ, ডা. মো. জয়নাল আবেদীন জয় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এম.এইচ আরমান চৌধুরী।
আলোচনা শেষে শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল কে এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় কয়েকজনকে মানবাধিকার সম্মাননা পদক- ২০১৭ প্রদান করা হয়।