হুমায়ুনের সমস্যার অন্ত নেই। ইংরেজি পড়া শেখা হয় না বলে স্যারকে রোগী বানাতে হয়। ফুটবল খেলে জিততে হয় দুর্ধর্ষ বুলেট ক্লাবের বিপক্ষে। আবার মুগদাপাড়ার বদমাশ ছেলেপুলের সঙ্গে মারামারি করে ‘টাইট’ও দিতে হয়। তবে এত শত সমস্যাও তার কাছে পান্তাভাত। কারণ, সমস্যায় পড়লেই সে যায় তার বন্ধুর কাছে। কাতর গলায় বলে, ‘ও ভাই বোতল ভূত, লক্ষ্মী সোনা, চাঁদের কণা—ছয় প্রশ্নমালার তিন নম্বর অঙ্কটা পারছি না। একটু দেখবে কিছু করা যায় কি না?’
এসব আবেদনে সব সময় যে কাজ হয়, তা নয়। তবে বেশির ভাগ সময়ই হয়। খুব জটিল কোনো সমস্যায় পড়লে হুমায়ুনের পাশে এসে দাঁড়ায় তার বন্ধু।
হুমায়ুন নামের ছেলেটাকে কি হিংসা হচ্ছে? হিংসা হলে তোমাকে মোটেও দোষ দেওয়া যাবে না। হিংসা আরও বেড়ে যাবে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হ্ুমায়ূন আহমেদের লেখা বোতল ভূত বইটা পড়লে। গল্পের নায়ক হুমায়ুন আর বোতল ভূতের বন্ধুত্বের গল্পটা এককথায়—অদ্ভুত!