ইট-পাথরের শহুরে বাড়িঘরে একটু সবুজের পরশ যেন প্রাণের সঞ্চার করে। তাই বাড়ির ভেতর এক টুকরো সবুজের আকাঙ্ক্ষা কমবেশি সবারই থাকে। এ জন্য ঘরের কোণে কিংবা বারান্দায় অনেকেই গড়ে তোলেন এক টুকরো সবুজ বাগান।
এই বর্ষাকালে ঘরের গাছগুলো যেমন সজীব থাকে, অন্যদিকে বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। তাই এই সময়ে গাছের যত্ন আর সচেতনতা খুব বেশি প্রয়োজন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিপা মোনালিসা জানালেন, ‘মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়। তাই এই মৌসুমে টবে কোনোভাবেই পানি জমতে দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া মাঝে মাঝে গাছের ডাল-পাতা ছেঁটে দিলে গাছ দেখতেও যেমন ভালো লাগবে, তেমনি মশা বা পোকার উপদ্রবও কম হবে।’
এখন চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগগুলো বেশি হওয়ায় অনেকেই গাছ লাগাতে ভয় পাচ্ছেন বা ঘরের গাছগুলোও ফেলে দিচ্ছেন। এতে আতঙ্কিত না হয়ে টবে বা টবের ট্রেতে যাতে পানি না জমে, সেদিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। এ ছাড়া পানির গাছগুলোর পানি দু-তিন দিন পরপর পাল্টে দিতে হবে।
রাজধানীর মিরপুরের অধিবাসী ফিরোজা বেগমের বাড়ির ছাদ, বারান্দা, ঘরের আনাচ-কানাচে সব জায়গাতেই যেন সবুজের সমারোহ। তিনি জানান, এই সময়ে চারদিকে মশাবাহিত রোগের ছড়াছড়ি। তাই নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করতে হয়। তবে তা কঠিন কিছু নয়। প্রতিদিন পানি দেওয়া, মাঝে মাঝে ডাল-পাতা ছেঁটে দেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। এই সময় গাছে খুব সামান্য পরিমাণে পানি দিতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এ ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। কোথাও যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। বাড়ির ভেতরে গাছ থাকলেও মাঝে মাঝে বাইরে রোদ আসে এমন জায়গাতে রাখতে হবে। এ ছাড়া পিঁপড়া বা পোকার আক্রমণ হলে রাসায়নিক কীটনাশক না দিয়ে, পানিতে সামান্য ডিটারজেন্ট মিশিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।