বাংলাদেশের ইতিহাসে ইন্দিরা গান্ধী চিরঞ্জীব

বাংলাদেশের ইতিহাসে ইন্দিরা গান্ধী চিরঞ্জীব

……….লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান চিরঞ্জীব। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী প্রায় ১ কোটি বাঙালিকে ভারতে আশ্রয়, অন্ন, চিকিৎসা দিয়েছেন। বাঙালি যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র প্রদানসহ মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভারতীয় মিত্রবাহিনী যৌথভাবে পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে ভারত তথা ইন্দিরা গান্ধীর সাহায্য-সহযোগিতা ছিল অব্যাহত। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত দেশে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ইন্দিরা গান্ধী অবিচ্ছেদ্য। বাংলাদেশের মহত্তম অর্জন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইন্দিরা গান্ধীর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইন্দিরা গান্ধী সাহসী, বিচক্ষণ ও মানবিক গুণাবলীতে উজ্জীবিত একজন মানবতার নেত্রী ছিলেন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর সকালে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ সাংবাদিক নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি এম.এ জলিল এর সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন আবুল কালাম আজাদ এম.পি, জাতীয় পার্টি- জেপি’র নির্বাহী সম্পাদক সাদেক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মহিব উল্লাহ শান্তিপুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার চিরকাল বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল

গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল